উখিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি নির্মাণে বাধা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ক্ষোভ

fec-image

উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে চতুরপাশে নির্মাণধীন বাউন্ডারী নির্মাণে বাধা প্রদান করে যাচ্ছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। এ নিয়ে শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, জনপ্রতিনিধি এবং অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরজমিন ঘুরে, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মরিচ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯১৮ সালে স্থাপিত হয়। ১৯৬৬ সালে বিশিষ্ট্য শিক্ষানুরাগী মরহুম পেঠান আলী খলিফা অত্র বিদ্যালয়ের জন্য ২২১৯ রেজিস্টার যুক্ত দানপত্র মূলে ৫০শতক জমি দান করেন। যাহার আরএস খতিয়ান নং-১৮১/১ দাগ নং ১২৯১.১০৮২.১০৬০.১০৬৫ এবং বিএস ০৩নং খতিয়ানের বিএস দাগ ৯৮৬.৯৮৭ খতিয়ানভুক্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের সুরক্ষা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক বিদ্যালয়ের জন্য বাউন্ডারি ও দেয়ালের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু দাতা পক্ষের ওয়ারিশ দাবি করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে রামু উপজেলার ধেছুয়া পালং এলাকার সাইফুল আজিম নামের এক ব্যক্তি বারবার বাধা প্রদান করে যাচ্ছিল। একইভাবে মঙ্গলবার বাধা প্রদান করতে চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষক এম জহিরুল হক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান ইউএনও। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক জহির এনিয়ে ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও স্কুলের বাউন্ডারি স্থাপন নিয়ে সার্বিকভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধরসহ সকলের প্রতি জহির ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর বলেন, সরকারি কাজে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে সুফল বয়ে আসবেনা। তাদের যদি কোন কাজপত্র থাকে তা কোর্টের মাধ্যমে প্রমাণ করার কথা জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি মিমাংশা করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের কথায় সে আসেনি। মঙ্গলবার ফের বাধা প্রদানের চেষ্টা করলে পুলিশ পাঠিয়ে তা প্রতিহত করা হয়৷ বর্তমানে বাউন্ডারির কাজ চলছে, এখন আর কোন সমস্যা নেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন