একটি ব্রিজেই পাল্টে গেল ২ হাজার মানুষের জীবন

বান্দরবানের রুমার হিমাগ্রী এলাকায় ডলুঝিরি ছড়ার উপর প্রায় ৩ কোটি ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬০মিটার দৈর্ঘ্য‘র একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ণ বোর্ড। এ ব্রিজটিকে আরো আকর্ষণীয় করতে ব্রিজের দুইপাশেই দেয়া হয়েছে সোলার লাইট। আর এ ব্রিজটি নির্মাণের ফলে পাল্টে গেছে ওই এলাকায় অবস্থিত ৬পাড়ার প্রায় ২ হাজার মানুষের জীবন যাত্রা।
গেল শুক্রবার (১১ফেব্রুয়ারী) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ব্রিজটির উদ্বোধন করেন এবং ব্রিজটি ঘুরে দেখেন। উদ্বোধনের পর এলাকাবাসীরাও অনেক খুশি এমন একটি ব্রিজ পেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, এ ব্রিজটি নির্মিত হবার আগে প্রায় ৩কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে প্রধান সড়কে আসতে হতো। বর্ষাকালে ঝিরিতে পানি বেড়ে গেলে বাড়িতেই বসে থাকতে হতো। যার কারণে নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ফসল জমিতেই নষ্ট হয়ে যেতো। এ ব্রিজটি নির্মাণের ফলে শীতকালীণ সবজি ও ফলমুল বাগান থেকে সহজেই আনা যাচ্ছে। তবে ব্রিজের উপারের রাস্তাটিও কার্পেটিং করে দেয়ার দাবি তাদের। যদি রাস্তাটি কার্পেটিং করে দেয়া হয় তবে বর্ষাকালেও তাদের চলাচলে সুবিধা হবে বলেও জানায় তারা।
এ বিষয়ে হিমাগ্রীর চমংহ্লা মারমা বলেন, এ ব্রিজটি করার ফলে শুষ্ক মৌসুমে আমরা আমাদের জমিতে উৎপাদিত ফসল সহজে প্রধান সড়কে এনে বাজার জাত করতে পারছি। যদি রাস্তাটি পাকা করে দিত, তবে বর্ষাকালে কাঁদা জমতো না। ফলে বর্ষাকালেও আমরা সহজে যাতায়াত করতে পারতাম।
রুমার ডলুঝিরি ছড়া এলাকার বাসিন্দা সুমন মারমা বলেন, এ ব্রিজটি হওয়ার ফলে এ এলাকায় থাকা ৬টি পাড়ার প্রায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছে। এখন সহজেই সবাই এ ব্রিজটি পার হয়ে যাতায়াত করতে পারছে।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ণ বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবদুল আজিজ বলেন, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ডলুঝিরির উপর ৬০মিটারের একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্রিজটি নির্মাণের ফলে ওপারে থাকা প্রায় ৬পাড়ার মানুষ ঝিরির এপারে আসতে সমস্যায় পড়তো। বর্ষাকালে এ সমস্যা আরো তীব্র হতো। ব্রিজটি নির্মানের ফলে তাদের সমস্যা অনেকটাই কেটে গেছে। ওপারে মাটির রাস্তাটিও ব্রিক সলিং করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।