কক্সবাজারে ১২ বাহিনীর ৯৫ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

fec-image

কক্সবাজারের মহেশখালীর ১২ বাহিনীর ৯৫ জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর আত্মসমর্পন করেছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র ও গুলি জমা দিয়ে এ সব জলদস্যুরা আত্মসমর্পন করে।

পুলিশ জানায়, আজকের এই অনুষ্ঠানে ১২টি বাহিনীর ৯৫ জন জলদস্যু ও অস্ত্রকারিগর স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করেন। একই সাথে দেড় শতাধিক বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই হাজারেরও বেশী গোলাবারুদ জমা দেন।

আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে, মহেশখালীর কালারমারছড়ার আলোচিত জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান জিয়া, তার বাহিনীর মানিক, আয়াতুল্লাহ, আবদুস শুক্কুর, সিরিপ মিয়া, একরাম ও বশিরসহ অন্তত ১৫, কালা জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য আবুল, সোনা মিয়া, জমির উদ্দীনসহ প্রায় ১৫ জন, মহেশখালীর নুনাছড়ির মাহমুদুল্লাহ বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ আলী, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বদাইয়াসহ ১৫ জন, ঝাপুয়ার সিরাজ বাহিনীর প্রধান সিরাজ-উদ-দৌলাহ, নলবিলার মুজিব বাহিনীর প্রধান মজিবুর রহমান প্রকাশ শেখ মুজিব এবং কুতুবদিয়ার লেমশিখালীর কালু বাহিনীর প্রধান কালু প্রকাশ গুরা কালুসহ তার বাহিনীর ১৫-২০ জন জলদস্যু ও অস্ত্রবাজ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো: আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমূখ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সরকার বদ্ধ পরিকর দেশকে সন্ত্রাস ও দস্যুমুক্ত করার জন্য। এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের গডফাদার যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। হোক এমপি হোক রাজনীতিবিদ কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তিনি আরো বলেন, আত্বসমর্পনকারীদের সরকার বিশেষ ব্যবস্থায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। এ সময় মন্ত্রী তাদেরকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর র‌্যাবের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণের পর ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় অনেক শীর্ষ দস্যু ও অস্ত্র কারিগর। যার কারণে বিভিন্ন পাহাড় ও সাগর উপকূলে অভিযান বৃদ্ধি করে পুলিশ। অভিযানের মুখে আবারো আত্মসমর্পণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার দস্যু ও অস্ত্র কারিগর।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জলদস্যু, মো: আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন