হাতি মানুষ-দ্বন্দ্ব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ

কাপ্তাইয়ে বন বিভাগের কোটি টাকার সোলার ফেন্সি প্রকল্প অকার্যকর

fec-image

হাতি মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বন বিভাগের সোলার ফেন্সি কোটি টাকার প্রকল্প অকার্যকর হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ বছর যাবত রাঙ্গামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই -কর্ণফুলী রেঞ্জের জাতীয় উদ্যানে এলাকায় বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়ে মানুষের প্রাণহানি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছিল। ফলে প্রতিনিয়ত হাতি মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে দক্ষিণ বন বিভাগ কাপ্তাই রেঞ্জে ৮ কি.মি. কোটি টাকার একটি সোলার ফেন্সি প্রকল্প স্থাপন করে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি কোটি টাকার ৮ কি. মি. একটি সোলার ফেন্সি কাপ্তাই রেঞ্জের স্থাপন করা হয়।

সোলার ফেন্সি স্থাপনের এক বছর পর্যন্ত বনের ভিতর হতে কোন বন্যপ্রাণী লোকালয়ে এসে মানুষের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। এক বছর না যেতেই সোলার ফেন্সি তারের উপর পাহাড় ধস, গাছের ডাল-পালা পড়ে ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়। সোলার ফেন্সির কয়েকটি ব্যাটারি চুরি হয়ে যায়।

জানা যায়, সোলার ফেন্সি নিয়মিত সকাল ও ভোরে বন্ধ ও চালু করার জন্য একজন কর্মচারী নিয়োজিত থাকলে তাও নেই। সোলার ফেন্সি অকার্যকর হওয়ার পর হতে এটি আর সংস্কার করা হয়নি। যার ফলে প্রতিনিয়ত বন্য হাতি লোকালয়ে এসে মানুষজনের ফসলাদি ক্ষতি করে চলছে।

এলাকার সচেতন লোকজন জানান, দীর্ঘদিনের হাতি মানুষ দ্বন্দ্ব এক বছর শান্তি ছিলাম। সোলার ফেন্সি নষ্ট ও ব্যাটারি চুরি হওয়ার পর সংস্করণ না করায় পুনরায় বন্য হাতি লোকালয়ে এসে তাণ্ডব চালাচ্ছে। কোটি টাকার প্রকল্প গোল্লায় গেল। বর্তমানে এটি সংস্কার না করার ফলে আমাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এএসএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে জানান, পাহাড় ধস ও ঝড় তুফানে গাছের ডাল-পালা সোলার ফেন্সি উপর পড়ে কিছু কিছু জায়গায় তার নষ্ট হয়ে গেছে। এবং দুটি সোলার ফেন্সি ব্যাটারি চুরি হওয়ায় কাপ্তাই থানায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়গুলো দক্ষিণ বন বিভাগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

এছাড়া দক্ষিণ বন বিভাগ কাপ্তাই সহকারী বন সংরক্ষক মাসুদ আলমের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে এক প্রশ্নের জানান, সোলার ফেন্সি সব জায়গায় নষ্ট হয়নি কিছু কিছু জায়গায় নষ্ট হয়েছে। এটি সংস্কার করার বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নিব জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন