কাপ্তাইয়ে ভাসমান অবস্থায় বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার
কাপ্তাই প্রতিনিধি:
কাপ্তাইয়ে ভাসমান অবস্থায় বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কাপ্তাই বন বিভাগের কর্মচারী-কর্মকর্তাবৃন্দ।
বুধবার (০২ মে) সকালে শুকনাছড়ি বিট এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী বরঘোনা নামক স্থান থেকে মৃত এ হাতিটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসা করলে বন বিভাগের লোকজন জানান, মহিলা হাতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় নয় ফুট এবং বয়স ১৭ থেকে ১৮ বছর হবে। লেজকাটা দলছুট নামে পরিচিত ছিল এ হাতিটি। তবে কিভাবে এর মৃত্যু হলো তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
এদিকে হাতিটির শরীরে কোন ধরনের ক্ষত পাওয়া যায়নি। কাপ্তাই ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে কাপ্তাই লেক থেকে হাতিটি উদ্ধার করেছি। তবে শরীরের কোন স্থানে ক্ষত দেখতে পাইনি।
কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ডাক্তার মনরঞ্জন তংচঙ্গ্যা ও অমন কান্তি বড়ুয়া পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে। কিভাবে মারা গেল তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলতে পারবে বলেও জানান ডা. মনরঞ্জন।
এদিকে পার্বত্য চটগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. তৌফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে খোঁজ খবর নেন। তিনি বলেন, হাতিটির শরীরে কোন ধরনের ক্ষত পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের ওপর থেকে পড়ে যেয়েও মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তবে হাতিটির তদন্তের প্রয়োজনে প্রাণী সম্পদ ডাক্তার আনা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বলা যাবে কিভাবে এর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে জেটি স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মালেক শেখ, কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশরা আসে। হাতিটি শুনকানছড়ি বনবিট এলাকায় গর্ত করে কবর দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে বলেও বন বিভাগ জানান। একটি সূত্রে জানাযায়, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলায় ৬টি হাতির বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হয়েছে।
পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জের শুকনাছড়ি বিট এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী বরঘোনা নামক এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।