কুতুবদিয়ায় ভোটকেন্দ্রে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
কক্সবাজার-২ আসনে (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) ৩ স্তরের নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণে প্রস্তুত কৃতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে পারে-সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। এ আসনের কুতুবদিয়া উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ৩৭টি কেন্দ্র। ভোটার রয়েছে মোট ৯৫ হাজার ৫২৩ জন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকালের মধ্যেই সকল ভোটকেন্দ্রে শুধু ব্যালট ছাড়া অন্যান্য সরঞ্জাম পৌছে দেওয়া হয়েছে। সকালে যাবে ব্যালট পেপার।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তায় ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
এ আসনে কাগজে-কলমে ৬ প্রার্থী থাকলেও দু’বারের নির্বাচিত নৌকার আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি’র মূল প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনএম থেকে নোঙর প্রতীকে লড়ছেন মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শরীফ বাদশাহ। সেখানে তার জনপ্রিয়তা থাকলেও কুতুবদিয়ায় তিনি নতুন আবির্ভাব হন।
উভয় প্রার্থীই সমান তালে প্রচাপরণা আর পথসভা শেষ করে এখন ভোটের দ্বারপ্রান্তে। সর্বশেষ ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে নোঙর প্রতীকের পথসভায় কিছু অশালীন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলায় আতঙ্কিতের ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ভোটে। যে কারণে ভোটে উপস্থিতির পরিমাণ বেড়ে যাবার প্রক্রিয়াটি ভেস্তে যায় বলে স্থানীয় ভোটাররা মনে করেন।
ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকারি দলের নেতা-কর্মীসহ উভয় প্রার্থীর পক্ষেই জোর চেষ্টা চলছে। প্রশাসনও সাধারণ ভোটারদের আশস্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠ ও প্রভাবমুক্ত রাখতে সকল প্রস্তুতির কথা জানান, সহকারি রিটার্নিং অফিসার (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রবিবার ভোট সুষ্ঠ ও প্রভাবমুক্ত ভোট হবে। ৩ স্তরে নিরাপত্তায় কঠোর থাকবে প্রশাসন। সাধারণ ভোটার নির্বিঘ্নে কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিতে পারবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।