কুতুবদিয়ায় ১৯ দোকান ও ২৩ বসতভিটা পুড়ে ছাই

fec-image

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ১৯টি দোকান ও ২৩টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাত ২ টার দিকে উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী আল-আমিন মার্কেটে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এবং পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহত হয়নি। সবকিছু হারিয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ব‍্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কালাম আজাদ ও মোহাম্মদ সাঈদী জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে স্থানীয় করিম ও রুবেলের মালিকানাধীন কুলিং কর্নার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের মাঝেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভাতে এগিয়ে আসলেও আগুনের লেলিহান শিখা, গ্যাস সিলিন্ডার এবং ডিজেলের ব্যারেল বিস্ফোরণের ভয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় আগুন দোকান থেকে লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ে ২৩টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি বাড়ির গবাদি পশুও আগুনে পুড়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার শেফায়েতুল্লাহ জানান, তাঁর মালিকানাধীন ২টি দোকানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।

আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কেশমত উল্লাহ কাজল বলেন, দোকান থেকে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে বসতঘর পুড়ে গেছে তাঁর। আগুনের কবল থেকে পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে পারলেও ঘরের সবকিছু ছাই হয়ে গেছে।

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস‍্য আশেক উল্লাহ রফিক সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কুতুবদিয়া, দোকান, বসতভিটা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন