খাগড়াছড়িতে গণধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম

fec-image

খাগড়াছড়িতে বহুল আলোচিত সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের গণধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী নারী ও তার পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের নেতৃবৃন্দ।দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের একটি প্রতিনিধি দল ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী নারী ও তার পরিবারের সাথে দেখা করে মানসিক শান্তনা দেন এবং সব ধরনের আইনী সহযোগিতা প্রদানের করার আশ্বাস দেন।

এ সময় নেতৃবৃন্দ পৈশাচিক এ ঘটনায় নিন্দা ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সম্মানিত সদস্য সচিব মারিয়াম মনি, কুহেলী দেওয়ান, তাসলিমা সিরাজ, মিঠুন রানী ত্রিপুরা, মফিজুর রহমান ও আনিসুল আলম আনিক।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলার বলপাইয়া আদাম এলাকায় বিন্দু লাল চাকমার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৯ সদস্যের ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরের নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোবাইল লুট করার পাশাপাশি একটি কক্ষে নিয়ে তার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে (২৬) বেঁধে রেখে উপর্যপরি ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতা মা ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে ৯ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ডাকাতির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেন। পুলিশ মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের চিহিৃত করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ আসামিকে গ্রেফতার ও ডাকাতির মালামালসহ ডাকাতির সময় ব্যবহৃত সিএনজি অটো রিক্সাটি উদ্বার করেছে পুলিশ।

খাগড়াছড়িতে আলোচিত ডাকাতি ও গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারকৃত ৭ আসামিকে গতকাল রবিবার আদালতে হাজির করা হলে ৬ জন খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলম ও সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী রিয়াদের আদালত ১৬৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দি দেন। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি ৭ আসামির মামলার প্রধান আসামি মো: আমিন ওরফে নুরুল আমিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়ায় তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শুনানীর কথা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গণধর্ষণ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন