টেকনাফে গণধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রী: আটক ১

fec-image

কক্সবাজার টেকনাফে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা অনুমানিক ৬টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কাঞ্জর পাড়া জলিলের বসত ভিটায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দরবারে সালিসি বৈঠক ও অন্যান্য কারণে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ভুক্তভোগীর ছাত্রীর বড় ভাই ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত হোয়াইক্যং উত্তর কাঞ্জর পাড়ায় বসবাসকারী টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শামলাপুর নয়া পাড়ার মৃত খলিল আহমদ প্রকাশ মশাআলী খলিলের ছেলে রফিক উদ্দিন (৩০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগীর বড় ভাই জনানা, ভুক্তভোগী টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচি পাড়া তামির উলুম দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থী। সে প্রতিদিনের ন্যায় আমার বসত ভিটার পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত জলিলের টিউবওয়েল থেকে খাওয়ার পানি আনা নেওয়া করে। আর সেই পথে প্রায় সময় আড্ডা দেয় রফিক উদ্দিন (৩০), আব্দুল আমিন প্রকাশ নুরুল আলম (৩২) ও বাদশা (৪৫) সহ আরো অনেকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার সময় ওই স্কুল ছাত্রী খাওয়ার পানি আনতে সেই টিউবওয়েলে গেলে অভিযুক্ত তাকে একা পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে তাহার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিলের বসত ভিটার ভেতরে নিয়ে যায় এবং বাড়ির গেট বন্ধ করে পাহারা দেয়। পরে রফিক উদ্দিন ও নুরুল আলম তাকে ধর্ষণ করে।

এর পর্যায়ে ভুক্তভোগী চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে সেই বসত ভিটায় থাকা ঘরে বসবাসরত লোকজন বের হওয়ার আগেই তারা উক্ত স্থান হতে বের করে একটি টমটম গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাড়া করে। কিন্তু টমটমযোগে দ্রুত ভুক্তভোগীকে হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকায় অভিযুক্তের এক আত্নীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ধারালো ছুরির ভয়ভীতি দেখিয়ে এই বিষয়ে কোন প্রশাসন কিংবা পরিবারের লোকজনদের কোন কিছু বললে প্রাণে হত্যা করার হুমকি- ধামকি প্রদান করে। তাকে সেই বাড়িতে দুই দিন আটকিয়ে রাখার পর অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে হোয়াইক্যং আমতলী রাস্তার মাথার ছেড়ে দেয়।

এদিকে পরিবারের সদস্যরা দুই দিন যাবত খোঁজাখুঁজি করে এবং চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করে। এরপর ১৯ নভেম্বর সকাল আনুমানিক ৭টার সময় মামলার বাদী তার ভাইসহ পরিবারের লোকজন হোয়াইক্যং লম্বাবিল আমতলী রাস্তা মাথা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।

উক্ত বিষয়ে চেয়ারম্যানকে বিচার দিয়ে কোন ধরনের সুরহা না পাওয়াতে নিরুপায় হয়ে বিষয়টি গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) থানায় এসে বাদী বিষয়টি জানান।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিদর্শক নাছির উদ্দীন মজুমদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ওই ঘটনার প্রধান আসামি রফিক উদ্দিনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে টেকনফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, গণধর্ষণ, টেকনাফ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন