গাজায় ইসরাইলি সেনা রাখার ঘোষণা

fec-image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সব সময় ইসরাইলি সেনা উপস্থিত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) তিনি এ ঘোষণা দেন।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

ইসরায়েল কাটজ বলেন, ‘অতীতে কখনও গাজায় স্থায়ীভাবে ইসরাইলি সেনা উপস্থিত ছিল না;কিন্তু এখন থেকে আর এমন হবে না। গাজার বাসিন্দা ইসরাইলি কমিউনিটির মধ্যে বাফার বা মধ্যবর্তী ভূমিকায় থাকবে সেনারা। গাজার নিরাপত্তা জোনে এখন থেকে সব সময় লেবানন ও সিরিয়ার মতো ইসরাইলি সেনারা থাকবে। ’

গাজায় অভিযানের কারণে লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং ফিলিস্তিনিদের ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যদিও তিনি বলেছেন, ‘আপাতত এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের কোনো সম্ভবানা নেই। ’

বিবৃতিতে কাটজ বলেন, ‘ইসরাইলের নীতি স্পষ্ট- গাজায় যদি মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করে, তাহলে হামাস ফের গাজার জনগণকে নিজেদের অস্ত্র বা টুল হিসেবে ব্যবহার করবে। আমরা তা হতে দিতে পারি না। ’

কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি। এটি ছিল তিন পর্বের।

প্রথম পর্বে ছিল যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় শুরু করা, দ্বিতীয় পর্বে ছিল জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের কাজ শেষ করা এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, তৃতীয় পর্বে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন।

তবে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ না করে গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরাইলের ফের শুরু করা এই হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া অভিযান শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দখলদার বাহিনী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন