নাইক্ষ্যংছড়িতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গুলির মুখে বিজিবি : বন্দুকযুদ্ধ চলছে
স্টাফ রির্পোটারঃ
বান্দরবান সীমান্তে নিখোঁজ বিজিবির নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত আনতে গিয়ে ফের মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলির মুখে পড়েছে বিজিবি সদস্যরা। আজ শুক্রবার আড়াইটার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি এলাকার পাইনছড়ির ৫০নং সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিজিবির সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিজিবিকে লক্ষ্য করে বিজিপির গুলি ছোঁড়ার পর থেকে নিখোঁজ নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের লাশ শুক্রবার সকাল ১১টায় ফেরত দেয়ার কথা ছিল মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। সে অনুযায়ী বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহম্মদ আলী ও কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ফরিদসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শুক্রবার সকাল ১১টায় পাইনছড়ির ৫২ নম্বর পিলারের কাছে একটি কফিন নিয়ে অবস্থান করে। এ সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী দূর্গম ৫০নং পিলারে যেতে বলে। সে অনুযায়ী বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লাশ ফেরত না দিয়ে বিজিবির কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ২.৫০ মিনিট থেকে গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুঁড়েছে। বাংলাদেশের অস্থায়ী পাইনছড়ি ক্যাম্পের বিপরীতে বিজিপি’র বাউন্ডুলা ক্যাম্পের অবস্থান থেকে এই গুলিবর্ষণ করা হয়।
এদিকে টানা বিকাল ৪.৩০ টা পর্যন্ত গুলি বিনিময়ের পর আধাঘন্টা বিরতি দিয়ে আবার গুলি বর্ষণ শুরু করে মিয়ানমার। এ রিপোর্ট লেখা (৫.৪৫) পর্যন্ত গুলি বিনিময় চলছিল। বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০-৫১ পিলার বরাবর এই বাহিরমাঠ এলাকায় এই গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। মিয়ারমার তার দেশের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কমান্ডো ইউনিট সীমান্তে মোতায়েন করেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে বান্দরবান সীমান্তের তুমব্রু, ঘুনধুম, আশারতলি এলাকায় মিয়ানমারের তিন শতাধিক সেনাবাহিনীর সদস্য রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে অবস্থান নেয়। এতে সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনদের মধ্যে আতংক-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। এসময় নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে ঘন্টা দুয়েক পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রণসজ্জা নেয়ায় দোছড়ি সীমান্তে বিজিবির অতিরিক্ত সৈনিক মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগ্রেড নাইক্ষ্যংছড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে।