ঘুমধুমে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার নারী, আটক ১
ঢাকা সিটি করপোরেশন’র (উত্তর) ৪৮ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা রায় (ছদ্মনাম) নামের এক নারী ঘুমধুমে বেড়াতে এসে দুই যুবকের হাতে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী নারী।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টা থেকে ২টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় ঘটনায় জড়িত মামলার ২ নং আসামি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের তুমব্রু উত্তর উলুবনিয়া পাড়ার শাহ আলমের ছেলে দিদারুল আলম (২১)কে গ্রেফতার করেছে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল। অপর ধর্ষক ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুল জব্বারের ছেলে নুরুল আবসার মানিক চৌধুরী (২৬) পলাতক রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেয়েটির বান্ধবী শিলাসহ গত শনিবার ১৩ এপ্রিল কুতুপালং রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের জুবাইর নামের ছেলের কাছে ইয়াবা ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করতে আসে পরবর্তী রোহিঙ্গা জুবাইর উধাও হওয়াতে পূর্বপরিচিত কুতুপালং সংলগ্ন রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের আলমগীরের বাড়িতে যায়। জানা গেছে, আলমগীর’র স্ত্রী পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্ত নুরুল আবছার মানিক ও দিদারুল আলম রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের আলমগীরের স্ত্রীর কাছে গিয়ে ৬ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েটিকে মোটর সাইকেল যোগে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে ভাত খাওয়া পরবর্তীতে বিয়ার খাওয়ার পর শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে ১৬ মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মানিকের বাড়ি থেকে ঘুমধুমের পুরান পাড়া টিনের বাসায় এনে অভিযুক্ত মানিক মারধর করে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিলে ভোর ৫টার দিকে পথচারীর দৃষ্টিগোচর হলে সে স্থান থেকে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী আরো জানায়, একদিকে স্বামী গাঁজা নিয়ে জেলে আছে অন্যদিকে ক্যাম্পের জোবাইর দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ হওয়াতে নিরুপায় হয়ে এ কাজে আসে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিম নারী থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত এক ধর্ষক কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। অপর অভিযুক্ত ধর্ষক নুরুল আবসার মানিক চৌধুরীকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হেফাজতে নিয়েছে।