তুরস্কের ধ্বংসস্তূপে ১৮২ ঘণ্টা আটকে ছিল কিশোর, অবশেষে উদ্ধার
ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে, জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে। এরপরও কিছু ঘটনা মানষকে অবাক হতে বাধ্য করছে।
গতকাল সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের হাতাই প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সে টানা ১৮২ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিল।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের হাতাই প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে এক কিশোরকে বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ সময় ওই কিশোরকে স্ট্রেচারে শুইয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছিল। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে কম্বল দিয়ে ওই কিশোরের শরীর ও মাথা ঢেকে রাখা হয়েছি।
তবে ওই কিশোরের নাম-পরিচয় জানাননি উদ্ধারকর্মীরা। এমনকি সে কীভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছিল, কীভাবে এত দিন টিকে ছিল—সেসবও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য,৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ তুরস্কের বাসিন্দা। দেশটির ভূকম্পনপীড়িত ১০টি অঞ্চলে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ভূকম্পনপীড়িত এলাকাগুলোয় প্রচণ্ড শীত পড়েছে। দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। যথাসময়ে যথেষ্ট ত্রাণ না পৌঁছানোয় খাদ্যসংকটও দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ভূমিকম্পে যাঁরা বেঁচে গেছেন, তাঁদেরও অনেকে মারা যেতে পারেন আশ্রয়, খাবার, সুপেয় পানি ও জ্বালানির অভাবে।
তুরস্কের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন—এমন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি।