ত্রিপুরাদের অভিযোগে নাইক্ষ্যংছড়ির গহীনবনে ভূমিদস্যূদের তৎপরতা বন্ধ
পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি ইউনিয়নের বেথিরাম ত্রিপুরা নৃ-গোষ্ঠিদের অভিযোগে নাইক্ষ্যংছড়ির গহীনবনে ভূমিদস্যূদের তৎপরতা বন্ধ করলো থানা পুলিশ।
রোববার সকাল ১২টায় অভিযোগকারীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে দখলদারের দোষরদের এ নির্দেশ দেন পুলিশ। এ সময় পুলিশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই রাজিব হোসেন।
তিনি বলেন, বাদি বেথিরাম ত্রিপুরার অভিযোগ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তারা জানতে পারেন একদল লোক পাহাড়ের বন-জঙ্গল কাটছে। যেহেতু এটি নিয়ে ত্রিপুরাদের অভিযোগ রয়েছে সেহেতু কাঠুরিয়াদের যাবতীয় তৎপরতা বন্ধ করে দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আর যে কোন জমি-জমা কাগজ-পত্রের বিষয়, তাই কাগজ যার জমি তার ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত সমাধান হবে।
অভিযোগকারী বেথিরাম ত্রিপুরা বলেন, বনদস্যুরা তাদের বাড়ির আশপাশের কয়েকশত একর পাহাড়ি জমি দখলে নিতে বনের সব গাছ-বাঁশ কেটে সাবাড় করছিলো। যা দু’একদিন পরে নানা জায়গায় পাচার করবে। বাকী বনজসম্পদ আগুনে পুড়াবে। যা তাদেরই সম্পদ। হেড়ম্যান-কারবারী জোট বেধে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে এ অপতৎপরতা বন দস্যুরা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ি টিলা সমেত এ গ্রামের সদস্য সংখ্যা ৩০ জন। পরিবারের সংখ্যা-৬টি। তাদের আয়-রোজগারের উৎস পাহাড়ের বাঁশ, ফুল ঝাঁড়– ও গাছ সহ পাহাড়ের বিভিন্ন বনজ সম্পদ। তাদের আয়ের এ উৎস ধ্বংস করতে চেষ্টা করছে হেড়ম্যান কারবারীদের সাথে নিয়ে। এ জন্যে তারা হেডম্যান কারবারী সহ ১০ /১২ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। নাম উল্লেখ করেছেন ৬ জনের। বাকীরা অজ্ঞাত।
উল্লেখ্য বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ও বাইশারী ইউনিয়ন এলাকায় কয়েক শত বনদস্যদের নিয়ে বন নিধন করছে। যা পাহাড়ি জনগোষ্ঠি ও বন্যহাতি সহ বন্যপ্রাণিদের জন্যে অশনি সংকেত।