দিল্লিতে তরুণীকে নৃশংসভাবে ‘হত্যা’, হতবাক পুরো বিশ্ব

fec-image

ভারতের দিল্লিতে এক তরুণীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় হতবাক দেশটির অধিকাংশ মানুষ। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই নারী একজন ইভেন্ট ম্যানেজার ছিলেন। ১ জানুয়ারি ভোরে কাজ থেকে তিনি যখন ফিরছিলেন, তখন তার স্কুটারটির সঙ্গে একটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়।

এ বিষয়ে ভারতীয় পুলিশ বলেছে, ওই গাড়িতে চালকসহ আরও চারজন যাত্রী ছিলো। ওই চালক তরুণীটির দেহটিকে তার গাড়ির মাধ্যমে মাইলের পর মাইল টেনে নিয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছু সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে যে ওই নারীর লাশ গাড়ির নিচে আটকে ছিলো। এই ঘটনায় হতবাক সারাবিশ্বের মানুষ।

একটি মারুতি ব্যালেনো গাড়ি দ্বারা এক তরুণীকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া এবং উত্তর দিল্লিতে এক নারীর লাশ পড়ে থাকার পরে দু’টি ফোন পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। রোববার সকালে ওই ফোন কলগুলো পাওয়ার পর গাড়িটির অনুসন্ধানে অভিযান শুরু হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। পরে তারা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং অনুসন্ধান চালিয়ে গাড়িটি খুঁজে পায়।

দেশটির শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা সাগর প্রীত হুডা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যা এবং অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে অভিযুক্তরা গাড়িটি চালানোর জন্য তাদের বন্ধুর কাছ থেকে এটা ধার নিয়েছিল।

তারা আরও জানান, আসামিরা নিহত নারীর লাশ রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামিরা এখনও কোনো বক্তব্য দেননি।

পুলিশ বলেছে, অপরাধীদের মুখে ওই সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে এবং সত্যতা যাচাই করতে তাদের অপরাধ সংঘটনের স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়া গাড়িটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল দ্বারা পরীক্ষা করা হবে।

তারা আরও বলেছেন, অভিযুক্ত পুরুষদের দাবি যাচাই করার জন্য তারা একটি ডামি ব্যবহার করবেন। কারণ, অপরাধীরা দাবি করেছে যে তারা ওই নারীর চিৎকার শুনতে পায়নি, কারণ তারা গাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিলেন। সূত্র : বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: তরুণী, দিল্লি, ভারত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন