দুই দশক ধরে পার্বত্যাঞ্চলে অশান্ত পরিবেশ ছিলো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রায় দুই দশক ধরে পার্বত্যাঞ্চলে অশান্ত পরিবেশ ছিলো, যা ১৯৭৬-৭৭ সালে শুরু হয়। আমরা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে শান্তিচুক্তি করি। শান্তি চুক্তির পর হতে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে এবং আর্থ-সামাজিকভাবে ঔ অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট উন্নত করে যাচ্ছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সাথে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাপ্তাই ৭.৪ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ফলে আজকে মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে। কাপ্তাই ৭.৪ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি আরো একটি উদ্যোগ নিতে হবে, পাহাড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে গ্রিড লাইন যাওয়া এখনো কষ্টকর, সেখানে ব্যাপক হিসাব নিয়ে প্রত্যেক অঞ্চলে যেন সোলার প্যানেল চলে যায় সে ব্যবস্থা আমাদের ব্যাপকভাবে নিতে হবে। এটি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রত্যেক ঘর যেন আলোকিত হয় সে পদক্ষেপ নিবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রিজিয়ন কমান্ডার মাইনুর রহমান, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রজ্ঞানেন্দু চাকমা ও রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই প্রজেক্টের ভেতরে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান বাঁধ সংলগ্ন দুই একর খালি জায়গায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। পুরো প্রকল্প এলাকা সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। এতে প্রায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। সৌর শক্তির সাহায্যে এই প্রকল্প থেকে দৈনিক ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কাপ্তাই প্রজেক্টে ব্যয় করা হবে। বাকী ৫.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হবে।