নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্যায় নিখোঁজ নিহত ১, আহত ৪
নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড়ি ঢল ও টানা ৫ দিনের প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার নিচু এলাক সহ আগাম রবিশস্য বীজতলা। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন সড়কের। সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি আলীকদম সড়কের বিভিন্ন অংশে। উপড়ে গেছে সড়কের করুকং এলাকার রাস্তার গাইড় ওয়াল, পেলাসাই ড়িং ও ড়্রেইন । এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সড়কের বিভন্ন অংশে ভাঙ্গন দেখা দিযেছে।
একই সাথে উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নে পানির স্রোতে নিখোঁজ রয়েছে মেমপই ম্রো (৩০)। এখনো পর্যন্ত তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকায় ৩ টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বেশ কিছু পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদ হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন, তার ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড করিম্মার ঝিরিতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের শিশুসহ ৪ জন আহত হয়েছে। পাহাড় ধসে কয়েকটি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া বাইশারী আলিক্ষ্যং সড়ক চাক হেড়ম্যান পাড়া সড়কে কয়েকটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
সোমবার ৭ আগস্ট আলীকদম বাজার থেকে আসার সময় বুছি খাল পার হতে যেয়ে পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে দৌছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রিংয়ে ম্রো পাড়ার বাসিন্দা ঐবরাত ম্রোর পুত্র মেমপয়ই (৩০) ভেসে যায়। এখনো সন্দ্ধান মেলেনি। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা।
তিনি এই প্রতিবেদককে আরো জানান, নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পার্বত্য মন্ত্রী বীরবাহাদুরের পক্ষে উপজেলা প্রশাসন এর মাধ্যমে-উপজেলার বিভিন্ন ইউনিযনের ক্ষতির পরিমান অনুসারে ৯ শত পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী (চাল, ডাল, লবণ) পৌছে দেওয়া হচ্ছে। নিহত ও নিখোঁজদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে আবগত করে সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাবস্তা নেওয়া হবে।
এদিকে দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মেহাম্মদ ইমরান বলেন, তার এলাকার সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়কটি হাটুভাংগা নামক এলকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যেকোন মূহুর্তে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবান কর্মকতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এই প্রতিবেদককে জানান, উপজেলায় মোট ১৪২০জন মানুষ প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। ১২০ টি ঘর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ মে. টন চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে।