নাইক্ষ্যংছড়িতে সেনা রিজিয়নাধীন শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
বান্দরবান সেনা রিজিয়নের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি জোন।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি জোন কমান্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. বেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ১০৫ জন শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন জোন কমান্ডার লে কর্নেল রেজাউল করিম।
শনিবার ( ৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জোনের এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টে মো. তানভীর আহমদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তা ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সকাল ১১টায় বিজিবির মিডিয়া কর্নারে জোন কমান্ডার ও নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে নিয়ে নানা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় নানা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড, উপজেলার উন্নয়ন-সম্ভবনা ও আরো নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘নাইক্ষ্যংছড়িতে যোগদানের পর তিনি এলাকার পরিবেশ যা দেখেছেন তা অনিন্দ্য সুন্দর, আকর্ষণীয়। স্থানীয় লোকজনের মাঝে দারুণ মিল। পাহাড়ি-বাঙালি মিলে-মিশে বসবাস করছে। এখানে আর সাংবাদিকরা উন্নয়নের সহযোগী। আমরা সকলে দেশের জন্যে কাজ করি, দেশের জন্যে লড়ি, দেশের জন্যে সবকিছু করি।’
এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তারা দেশের কল্যাণে অনেক শ্রম ব্যয় করেন। অনেক তথ্য তাদের কাছে থাকে। সব কিছু বিবেচনায় তিনি সাংবাদিক দের সহায়তা চান।’
জবাবে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা রাষ্ট্রকে সমুন্নত রাখতে বিজিবি-সাংবাদিক মিলে মিশে উন্নয়ন সহযোগী হতে মত দেন।
এ সময় সাংবাদিকদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাঈনুদ্দীন খালেদ, আহ্বায়ক আবদুল হামিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি ইফসান খান ইমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদুল হক বাহাদুর সদস্য জয়নাল আবেদ্দীন টুক্কু, সদস্য হাফিজুল সদস্য আব্দুর রশিদ, সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ,সদস্য মো. শাহীন ও সদস্য মো. তৈয়ব উল্লাহ প্রমুখ।