পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০৪


জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেও টানা পাঁচ ম্যাচ হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। দলের এমন বিপর্যয়ের মূল কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা।
বিশেষভাবে বলতে গেলে টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা। টপ অর্ডারের সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা আরও একবার দেখা গেলো পাকিস্তানের বিপক্ষে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে সাকিব আল হাসানের দল। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২০৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে শাহিন আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তামিম। রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হন। এরপর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবারও উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসা শাহিনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ক্রিজে আসা নাজমুল হাসান শান্ত। ৩ বলে ৪ রান করে ফিরে যান তিনি।
এরপর দ্রুতই ফিরে যান ক্রিজে আসা মুশফিকুর রহিম। দলীয় ২৩ রানে ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ১০২ রানে ভালো খেলতে থাকা লিটন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। ৬৪ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। লিটন ফিরলেও ৫৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন রিয়াদ।
ফিফটির পরেই দলীয় ১৩০ রানে ৭০ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রিয়াদ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়। ৩ বলে ৭ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসা মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। ৪৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।তবে দলীয় ১৮৫ রানে ৬৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হন সাকিব।
এরপর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মিরাজ। দলীয় ২০০ রানে ৩০ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ৪৫ ওভার ১ বলে ২০৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন আফ্রিদি নেন ৩টি উইকেট