পাতানো আদালতের মাধ্যমে ১১ জন দায়িত্বশীলের ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ হয়েছে : ডা. শফিকুর রহমান

fec-image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের কোনো আচরণে বা কাজে কষ্ট পেয়ে থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। মানুষ আমরা, কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে না। দল হিসেবে আমরা দাবি করি না যে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। এই সংগঠনের প্রতিটি কর্মী, সহকর্মী কিংবা দলের দ্বারা যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, নিঃশর্ত ক্ষমা করে দেবেন।’

এর আগে তিনি বলেন, ‘বিপদ ঘাড়ে নিয়েও আমরা চেষ্টা করেছি দেশবাসীর বিপদে পাশে থাকার। এমনকি ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নেওয়ার পরেও আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের শহিদ পরিবার, আহত পঙ্গু ভাই-বোনদের পাশে থাকার। কিন্তু আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, আমাদের পুরো কর্তব্য আদায় করতে পারিনি অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসীর সমর্থন ও সহযোগিতায় যদি এই দেশের সেবা করার দায়িত্ব আমাদের ওপরে আসে, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটাবো, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে ‘পাতানো আদালত ও মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে’ দলটির ১১ জন দায়িত্বশীল ব্যক্তির ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিষয়টি তার লেখা বইয়ে অপরাধ স্বীকার করে তুলে ধরেছেন বলেও উল্লেখ করেন জামায়াত আমির।

তিনি বলেন, এই বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের দলের নেতাদের নির্যাতন করতে ‘সেফ হোম’ এবং মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য লোকদেরকে রাখতে ‘সেফ হাউস’ বানানো হয়েছিল। এই সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়াকে তিনি ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে জামায়াতে ইসলামীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম বেকসুর খালাস পান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ডা: শফিকুর রহমান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন