পেকুয়ায় হেফজখানার এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক হেফজখানার ছাত্রকে বলৎকারের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে । গভীররাতে কৌশলে হেফাজখানা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিলে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় বখাটে। সোমবার রাতে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি ওই শিশু ছাত্র পরের দিন মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে জানালে খবরটি এলাকায় জানাজানি হয়। ছাত্রের পিতা রবিউল আলমসহ স্থানীয়রা বিষয়টি মাদ্রাসার হুজুরকে অবগত করে। এ সময় হেফজখানা পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ শিশুটির অভিভাবকদের নিয়ে হেফজখানার ভেতরে অতিগোপনে তাৎক্ষনিক বৈঠকে বসেন। তবে বৈঠকের বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে যান। লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি তারা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।

স্থানীয়রা জানায়, নোয়াখালী পাড়ায় একটি হেফজখানা রয়েছে। ভিকটিম শিশু গত একবছর ধরে হেফজখানায় পড়া লেখা করছে। নোয়াখালী পাড়া রিক্সাচালক নরুল আবছারের বাড়িতে তিনি খাওয়া দাওয়া করতেন। রাতে হেফজখানায় থাকতেন। এদিকে ওই শিশুকে সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য ত্রিশ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেন নোয়াখালী পাড়ার বখাটে ফারুক। রাতে ওই শিশুকে কৌশলে হেফজখানা থেকে বের করে ফুসলিয়ে বিলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বলৎকার করে ফারুক।

এ বিষয়ে হেফজখানার মৌলভী হাফেজ হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, আমি দুরে আছি। এ বিষয়ে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। যা বলার আছে তা সভাপতিকে বলুন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

অভিযুক্ত মো. ফারুক বলেন, আমি দুরে আছি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বিষয়টি আপনাদেরকে কে বলেছেন আগে তার নাম বলুন। কেউ কি আপনাদের বিচার দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে পারলে লিখে দেন। এদিকে শিশুটি নিয়ে তার পিতা রবিউল আলমও আত্মগোপনে চলে গেছে। তার বক্তব্য নেয়ার জন্য চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী পাড়া গ্রামের স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকে এ ধরনের খবর মানুষের মুখে মুখে শুনছি। নারীরাও একই কথা জানালেন। শিশুটি সকাল থেকে দেখা যাচ্ছেনা। হেফজখানায়ও নেই। তবে গোপনে মিটমাট হয়ে গেছে।

কয়েকজন নারী পুরুষ জানায়, ফারুক একজন বখাটে ও নেশাখোর। তার চরিত্র খুব খারাপ। ফারুক উশৃঙ্খল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না।

ইউপি সদস্য ছরওয়ার উদ্দিন জানায়, বিষয়টি আমি স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। তবে কতটুকু সত্য জানিনা।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান বিষয়টি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন