চকরিয়ায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে খৈরে আগুন লাগিয়ে পাল্টা মামলা চেষ্টা

fec-image

চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজের গোয়ালঘরের খৈরের টালে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পাল্টা মামলার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

১৭ ফেব্রুয়ারি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকায় চিংড়িপ্রকল্পের জমি দখলে হামলা চালিয়ে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় ১৮ ফেব্রয়ারি ১৫জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা করেন আহত সাবেক মেম্বার সামসুল আলম।

বাদি সামসুল আলমের ছেলে হেলাল উদ্দিন অভিযোগ তুলেছেন, চিংড়িজমি দখলে হামলার ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করি। এরই জেরে মামলার ৫নম্বর আসামি নুরুল আবছার কৌশলের আশ্রয় নিয়ে সোমবার রাতে নিজেদের গোয়ালঘরের পাশে খৈরের টালে আগুন লাগিয়ে দিয়ে আমাদেরকে জড়িয়ে থানায় সাজানো ঘটনায় পাল্টা মামলার চেষ্ঠা করছেন।

মামলার বাদি উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত হাজী ফকির মোহাম্মদের ছেলে সাবেক মেম্বার শামসুল আলম জানান, বাড়ির নিকটে তাঁর নামীয় খতিয়ানভূক্ত ও লিজপ্রাপ্ত বেশকিছু জমি আছে। কয়েকযুগ যাবত উল্লেখিত জমির কিছু অংশে চিংড়িঘের ও অপর কিছু অংশের নাল জমিতে চাষাবাদ করতেন তিনি।

সামসুল আলম দাবি করেন, এতদিন তিনি উল্লেখিত চিংড়িঘেরের জমি ও নালজমি বৈধভাবে ভোগদখলে থাকলেও সম্প্রতি সময়ে একই এলাকার সাবেক মেম্বার কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি চক্র জোরপুর্বক তাঁর এসব জমি দখলে নিতে অপচেষ্টা শুরু করে। এরই জেরে সর্বশেষ ১৭ ফেব্রয়ারি দুপুরে দখলবাজ চক্র জমি দখলে হামলা চালায়।

এসময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বাঁধা দেন জায়গার মালিক শামসুল আলম মেম্বার ও তার ছেলে হেলাল উদ্দিন।

ভুক্তভোগী সামসুল আলম বলেন, হামলার সময় বাঁধা দেয়ার একপর্যায়ে স্থানীয় জালাল আহমদের ছেলে সাবেক মেম্বার কামাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন ও মোকতার আহমদের নেতৃত্বে ১০-১২জনের অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রনিয়ে অতর্কিত আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাঁরা আমাকে (শামসুল আলম মেম্বার) ও আমার ছেলে হেলাল উদ্দিনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

 এ ঘটনায় আহত মেম্বার সামসুল আলম বাদি হয়ে পরদিন ১৮ ফেব্রয়ারি চকরিয়া থানায় একটি মামলা (নং ২২) দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় প্রতিপক্ষের ১৫জনকে।

এছাড়াও মামলার এজাহারে ৮-১০জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে থানার এসআই আবদুল বাতেন তদন্ত করছেন।

বাদি সামসুল আলমের ছেলে হেলাল উদ্দিন অভিযোগ তুলেছেন, চিংড়িজমি দখলে হামলার ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করি। এরই জেরে প্রতিপক্ষ জামাল উদ্দিনের ছেলে মামলার আসামি নুরুল আবছার কৌশলের আশ্রয় নিয়ে সোমবার রাতে নিজেদের গোয়ালঘরের পাশে খৈরের টালে আগুন লাগিয়ে দিয়ে এখন আমাদেরকে জড়িয়ে থানায় সাজানো ঘটনায় পাল্টা মামলার চেষ্টা করছেন।

বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। তবে তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হবার পর মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ, চকরিয়া, চিংড়িঘের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন