বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম আমাদের প্রেরণা জোগায়- আরাকান আর্মি

fec-image

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি(এএ) ও তাদের রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড লিগ (ইউএলএ) বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবসে অভিনন্দন জানিয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম তাদের ঈর্ষার কারণ উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেছে, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা তাদের প্রেরণা জোগায়”।

আজ ২৬ মার্চ পাঠানো বিবৃতিতে আরাকান আর্মি জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জিত হয়। বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশের জনগণের নেতাদের এই স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্বের অন্যান্য উপনিবেশিত মানুষ এবং অঞ্চলগুলোর জন্য একটি মহান ঈর্ষার বিষয়।

আরাকানের জনগণসহ আমরা ইউএলএ/এএ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তাদের ত্রিশ লাখ শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ এবং গভীর শ্রদ্ধা জানাতে চাই। একই সাথে এই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রজন্মকে সাধুবাদ জানাই। স্বাধীনতার পর থেকে গত পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশের মানুষ একটি সার্বভৌম জাতি হওয়ার ফল ভোগ করতে পারছে। সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাঁরা দেশকে শান্তি, স্থিতিশীলতা, স্বাধীনতা ও উন্নয়নের সঠিক পথেই রেখেছে।

অন্যদিকে, আরাকানের জনগণ দীর্ঘ দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বার্মিজ ও অন্যদের উপনিবেশ হিসেবে রয়েছে। নিপীড়ন ও শোষণ আরাকানবাসীর প্রাত্যহিক জীবনকে চরম কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের পথে। যদিও আরাকান উপনিবেশের কথা এখনও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পায়নি, তবুও আরাকানের জনগণের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের আকাঙ্ক্ষা ইউএলএ/এএ-র নেতৃত্বে স্থিরভাবে এবং সাহসিকতার সাথে আবির্ভূত হতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম আমাদের জন্য একটি মহান ঈর্ষার বিষয়। কারণ এটি আমাদের প্রেরণা যোগায়।

বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সাথে রয়েছে আমাদের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন। পারস্পরিক সুবিধা অর্জনে সহযোগিতায় আমরা সর্বদা বাংলাদেশকে স্বাগত জানাই। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের সাথে পারস্পরিক আস্থা ও সুবিধা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের জনগণের মুক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের পথের দিকে অগ্রসর হওয়া। আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে আরও ভালভাবে সাহায্য করবে। সোনার বাংলার স্বপ্ন সত্যি হোক, আরাকান স্বপ্নও সত্যি হোক।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আরাকান আর্মি, মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন