বাইশারীতে ফারিখালের উপর নির্মাণাধীন রাবার ড্যাম : বদলে যাবে হাজারো কৃষকের ভাগ্য
বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে ফারিখালের উপর নির্মাণাধীন রাবার ড্যামের কাজ সম্পন্ন হলে বদলে যাবে ইউনিয়নের হাজারো কৃষকের ভাগ্য। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ফারিখালের উপর রাবার ড্যামটি।
২০১৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপি কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন এর লক্ষে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরসেনাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের দায়িত্বে থাকা মোঃ মনির হোসেন বলছেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রাবার ড্যামের কাজ সম্পন্ন হবে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাঝখানে একটি বছর কাজ ধীরগতিতে ও সাময়িক বন্ধ রাখায় কাজটি সম্পন্ন হতে এত সময় লেগেছে। বর্তমানে কাজের দ্রুতগতির কারণে অচিরেই শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের আন্তরিকতা ও ভালবাসায় রাবার ড্যামসহ আমার ইউনিয়নে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ মন্দির, ক্যাংসহ শত কোটি টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে এবং শত কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়কে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ফারিখালের উপর নির্মাণাধীন রাবার ড্যামটির কাজ সম্পন্ন হলে ইউনিয়নের কয়েক হাজার একর অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আসবে। পাশাপাশি শুকনো মৌসুমে পশু পাখি গরু ছাগলের খাদ্য উৎপাদন হবে।
কৃষক আবুল শার্মা জানান, শুকোনো মৌসুমে পানি না থাকায় কৃষকের পাশাপাশি পশু খাদ্যের অভাব হয়ে যায়। কারণ পানি না থাকার কারণে পুরো এলাকা চাষাবাদসহ পশু পালন ও হুমকির মুখে পডে যায়। এই একটি রাবার ড্যাম আগামী দিনে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে বলে তিনি জানান।
আরেক সফল কৃষক মনিরুল হক জানান, এই রাবার ড্যামের কারণেই কৃষকদের ভাগ্যের আমুল পরিবর্তন সম্ভব। কাজটির তদারকির দায়িত্বে থাকা সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইনুদ্দিন বলেন, কাজ ধীরগতিতে চললেও কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে আসছি। কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত কাজ সম্পন্ন হলে এবছরই কয়েক শত একর জমি চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হবে।