বান্দরবানে গ্রামীণ সড়ক ভাঙ্গছে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই যানবাহনে
অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই যানবাহন চলাচলের কারণে বান্দরবানে অভ্যন্তরীন গ্রামীণ সড়কগুলো ধসে পড়ছে। এতে করে বিভিন্ন সড়কের খাদে পড়ে অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে। বালু, মাটি, তামাক, ইট, বনের কাঠ, পাহাড়ি পাথর বোঝাই পরিবহনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এ অবস্থা তৈরি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গ্রামীন সড়কে ১০ টনের বেশি মালামাল বহন করার প্রতি বিধি নিষেধ থাকলেও বান্দরবানে উপজেলা পর্যায়ে তা মানা হচ্ছেনা। সংশ্লিষ্টদের নিরবতার সুযোগে গ্রামীন সড়কগুলোতে প্রতিদিন ২৫-৩০ টনের মালবাহী ট্রাক চলাচল করছে। ফলে বছর না পেরুতেই সরকারি বরাদ্দে নির্মীত সড়কগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। এতে করে সরকারের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলছেন স্থানীয়রা।
বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী এন এস এম জিল্লুর রহমান জানান, বান্দরবানে এলজিইডির অধীনে উপজেলা সড়ক রয়েছে মোট ৩৭৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ইউনিয়ন সড়ক ৫৪৩ কিলোমিটার, গ্রামীণ সড়ক-এ ক্যাটাগরির প্রায় ১হাজার ৭৯ কিলোমিটার, গ্রামীণ সড়ক- বি ক্যাটাগরির প্রায় ১হাজার ১৬৫ কিলোমিটার। ভারী যানবাহনের কারণে অনেক সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন। তবে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান-পাহাড় ও বিভিন্ন নদী থেকে উত্তোলিত বালি, ও পাহাড়ের মাটি, ইট ভাটার ইট, তামাক, পাহাড়ি পাথর ও কাঠ বোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণেই মূলত গ্রামীন সড়ক ধ্বংস হচ্ছে। এসব কাঠ, বালু, মাটি ও ইট পরিবহন কাজে ২০ থেকে ২৫ টন ওজনের ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে। এতেচাপ পড়ছে সড়কগুলোর উপর।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সজিব আহমদ বলেন, পার্বত্য এলাকার সড়কগুলো এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। সড়ক ভাঙ্গার পেছনে ভারী পরিবহণ চলাচল এটিও একটি কারণ। তবে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক মেরামতে কাজ অব্যাহত আছে।