ভোলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবন, ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি

fec-image

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। শনিবার (২৬ মে) সকাল থেকে থেমে থেমে বইছে ঝোড়ো বাতাস। সঙ্গে রয়েছে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি।

ঝড়ের প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ভোলার সদরের ধনিয়া, নাছির মাঝি, রাজাপুর, শিবপুর, চটকিমারার চর, চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরিমুকরি ও চর পাতিলা, দৌলুতখানের সৈয়দপরসহ মনপুরার বেশ কিছু নিচু এলাকা।

এতে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। জেলা প্রশাসন ৮৬৯ আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রায় ১৪ হাজার সেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রেখেছে। খোলা হয়েছে আটটি কন্ট্রোল রুম। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভোলা-বরিশাল রুটে ফেরিসহ সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করছে। ভোলা বিআইডব্লিউটিএ-এর সহকারী পরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেোয়া পর্যন্ত সব জলযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় আমরা সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আগে থেকেই মানুষ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে বলা হচ্ছে। অনেকে এসেছেন। অনেকে আসেননি। যারা আসেননি তাদেরকে ও আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকরিমুকরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন জানান, কুকরিমুকরি ও ঢালচরে ১৫ হাজারের অধিক মানুষ পানিবন্দি আছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় রেমাল, প্লাবিত, ভোলা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন