মানিকছড়িতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও গ্রাহক ভোগান্তি নিয়ে মতবিনিময় সভা

খাগড়াছড়ি টু হাটহাজারী ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জরাজীর্ণ লাইনে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও গ্রাহক ভোগান্তির বিষয়ে ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় করছেন মানিকছড়ি আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষ।
১৫ জুন বিকেল ৫টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ভুতুড়ে বিল, ঘনঘন লোডশেডিং, লো-ভোল্টেজসহ নানা ভোগান্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ. রাজ্জাক, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আতিউল ইসলাম, বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুপেন পাল, মেসার্স মাহী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এস.এম রবিউল ফারুক, তিনটহরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, গাড়ি টানার গ্রাহক প্রবাল কুমার ত্রিপুরা, স’মিল সমিতির সভাপতি নিপ্রু মারমা, তিনটহরী ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন, মানিকছড়ি বাজার ব্যবসায়ী তুষার পাল, মো. রবিউল হোসেন, মো. ইমরান হোসেন, রাহুল শীল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল হোসেন রুবেল প্রমুখ।
মতবিনিময়ে উপস্থিত বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা গণহারে অভিযোগ করে বলেন, হাটহাজারী টু খাগড়াছড়ি ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে গত এক দশকে প্রতিনিয়ত লোডশেডিং, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, লো-ভোল্টজসহ ভুতুড়ে বিলে মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ৮ সহস্রাধিক গ্রাহক আজ অতিষ্ঠ। এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে বিদ্যুৎ প্রকৌশলীসহ পুরনো জনবলের বদলি জরুরি।
পরে সংক্ষুব্ধ বিদ্যুৎ গ্রাহকের উদ্দেশ্যে আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন বলেন, হাটহাজারী টু খাগড়াছড়ি ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন অনেক জরাজীর্ণ। ফলে প্রতিনিয়ত লাইন ফল্ট হওয়ায় লোডশেডিং হয়ে থাকে। দীর্ঘ ৫৫ কিলোমিটার লাইনের বিদ্যুৎ লাইনে গ্রিড স্টেশন না থাকায় ঘনঘন ফল্ট ও বিভ্রাট ঘটে। এছাড়া ৮ সহস্রাধিক গ্রাহকের মিটার রিডারে মাত্র ১ জন মিটারিডার দিয়ে নিয়মিত মিটার রিডিং সংগ্রহ সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে অভিযোগ পেলে পরবর্তী মাস থেকে রিডিং সমন্বয় করে তা সমন্বয় করে থাকি।
এই গ্রাহক দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সময় সাপেক্ষ বিষয় হলেও গ্রাহক সংক্ষুব্ধের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে বদলি হতে আপত্তি নেই।