‘মুরাদনগরে সংখ্যা লঘু মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় আমরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ’


কুমিল্লার মুরাদনগরে সংখ্যা লঘু মেয়েকে (২৫) মুসলিম পরিবারের ছেলে কর্তৃক ধর্ষণ ঘটনার বিষয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সোমবার ৩০ জুন সাংবাদিকদের বলেছেন, মুরাদনগরে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, তাতে বাংলাদেশের যে কোনো সাধারণ নাগরিকের মত আমরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান আসামির সঙ্গে যারা এই ছবি বা ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অত্যন্ত দায়িত্বহীন ও অপরাধমূলক কাজ করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ধর্ষণ বিষয়ক আইনে সময়োপোযোগী সংশোধন এনেছি, সেটার প্রমাণ আপনারা মাগুরার ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে দেখেছেন। এই ঘটনাটির ক্ষেত্রেও আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার করব, সে বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে নেটদুনিয়ায় তোলপাড়ের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেবার অভিযোগে আরও চার জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের হলেও এটি ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় শনিবার। এরপর এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপরই মূল অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয়ের সূত্র ধরে নানামুখী প্রচারও দেখা যায় সামাজিক মাধ্যমে। স্থানীয় বিএনপি বলছে, প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী বিএনপির কেউ নয়। সে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন। তবে এ ঘটনাটি ধর্ষণ নয়, এটি পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।