মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বান্দরবান জেলায় আবারো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মনোনীত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বান্দরবান জেলায় আবারো ৬ষ্ট বারের মত শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মনোনীত হয়ে সম্মাননা স্মারক পেলেন। গত মে মাসের সার্বিক প্রশাসনিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কর্ম বিবেচনায় এ সম্মাননা স্মারকে ভূষিত হলেন তিনি ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে বান্দরবান জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন আবারও জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে (৬ষ্ট বার) মনোনীত হলেন। কল্যাণ সভা শেষে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার বিপিএম এর হাত থেকে তিনি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর থেকে একের পর এক বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, হরেক রকম মাদক, চোলাই মদ, ওয়ারেন্ট তামিলকারী ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম সুষ্ঠু, সুন্দর, নির্ভুল ও সূচারুরূপে পালন করে ভূয়সী প্রশংসায় ভাসছিলেন। তাই জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সার্বিক বিবেচনায় তিনি আবারো জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নিজের কৃতিত্বের খেতাবে নাম লিখাতে সক্ষন হলেন। পেয়ে যান বিশেষ সম্মাননা স্নারক।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কর্মরত থাকাবস্থায় এধরণের সফলতার জন্য শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসেবে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।
প্রসঙ্গতঃ ওসি আলমগীর হোসেন নাইক্ষ্যংছড়িতে যোগদানের পর থেকে মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি এবং সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে, সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে (টীম নাইক্ষ্যংছড়ি নামে চৌকস অভিযানিক আলাদা দল গঠন করেন) সকল মহলে প্রশংসিত হচ্ছেন। ধারাবাহিকতায় পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন।যার ফলে বারবার শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। ধারাবাহিকতায় আবারো ৬ষ্ঠ বারের মত কৃতিত্বের স্বাক্ষরে নিজের নাম লিখালেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ওসি আলমগীর হোসেন জানান, তিনি কাজ করেই মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান। তারপরও সরকারের মূল্যায়নে তিনি ষষ্ঠবারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হওয়ায় তিনি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।