যুদ্ধের যোগ্যতায় উত্তীর্ণ পাকিস্তানি স্কোয়াডন লিডার আয়েশা ফারুক

fec-image

ভারতের পিলে চমকানো পাকিস্তানের এক অদম্য বাজপাখি আয়েশার দিকে এখন গোটা বিশ্ববাসীর নজর। জাতশত্রুর বুকে কাঁপন ধরানো এই দুঃসাহসী নারীর নাম এখন পৃথিবীর ২০০ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে বিস্ফোরিত বারুদের গোলার মতো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে।

ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সামরিক হামলায় পাকিস্তানের আকাশ সীমান্তে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন রানার সিগনালে জ্বলছিল লালবাতি। পাকিস্তানের আয়েশা তখন শত্রুর মোকাবেলায় আকাশে উড়াল দেওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ।

ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আকাশে প্রবেশ করতেই পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে থাকে। পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হাই এলার্ট জারি হয়ে যায় এবং সারা দেশ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে অপেক্ষা করতে থাকে।

যুদ্ধের দিন ভোরবেলা J-10C যুদ্ধবিমান নিয়ে আকাশে উড়াল দেন আয়েশা। তার লক্ষ্য ছিল ভারতীয় বিমান-বাহিনীর ফ্লায়িং এক্স জোনের রাফাল।

এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে শত্রুকে ছোঁবল মারার অপেক্ষায় ককপিটে ওঁৎপেতে ছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার আয়েশা। এরপর অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় বাজপাখির মতো দুর্ভদ্য নিশানায় আঘাত হানলেন।

টার্গেটকে চিহ্নিত করে মাত্র ২৭ সেকেন্ডে আক্রমণ, ৮.৭ সেকেন্ডে ধ্বংস এবং ৪ সেকেন্ডের মধ্যে নিশ্চহ্ন করে দেন শত্রুপক্ষের একমাত্র গর্বর রাফালকে। নিজের প্রথম মিশনে গিয়েই বয়ে আনেন এক অসাধারণ সাফল্য।

পাকিস্তানের আকাশজয়ী বাজপাখি আযেশার ছোঁবলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানটি পাকিস্তানের আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে গেলো।

ভারতের ২৮৮ মিলিয়ন ডলারের গর্বকে নিমিষে দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়া এই দুঃসাহসী নারী পৃথিবীর কোটি মুসলমানের হৃদয়ে নাম লেখালেন। অমর হয়ে রইলো সেই নাম- আয়েশা ফারুক।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিজে তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দুঃসাহসী এই নারীকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে খেতাব দেওয়ার ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আয়েশা প্রমাণ করে দিয়েছেন, নিজেকে মেলে ধরতে জানলে আকাশের সীমাহীন বাধাও জয় করা সম্ভব ।

আয়েশার এই দুর্দান্ত সাহসী পদক্ষেপে ভারতের আধিপত্যের স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেলো। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের আকাশে আয়েশা ফারুকের সাফল্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে জ্বলতে থাকলো।

আয়েশা ফারুক পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের হাসিলপুর, বাহাওয়ালপুর জেলার একজন পাকিস্তানি ফাইটার পাইলট, যিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে (পিএএফ) প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট হয়েছিলেন।

২০১৩ সালে তিনি যোগ্যতা অর্জনের জন্য চূড়ান্ত পরীক্ষায় শীর্ষে থাকার পর প্রথম পাকিস্তানি মহিলা ফাইটার পাইলট হন। আয়েশা ফারুক, গত দশকে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়া ২৫ জন মহিলার মধ্যে একজন।

স্কোয়াড্রন লিডার আয়েশা ফারুক পাকিস্তানের প্রথম নারী যুদ্ধবিমানচালক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১৩ সালে তিনি প্রথম নারী হিসেবে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমতি লাভ করেন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর শহরে জন্ম নেওয়া আয়েশা বাবাকে হারিয়েছেন ছোটবেলায়। বিধবা মায়ের অক্লান্ত শ্রম সাধনায় বেড়ে উঠেছেন। ছোট থেকেই আয়েশা ছিলেন অদম্য সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও স্বপ্নবাজ। তার মা তাকে সবসময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বলেই জানান আয়েশা ।

পাকিস্তানের বিমানবাহিনীতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি শুরু হয় ২০০৩ সালে। কিন্তু আয়েশা ফারুক প্রথম নারী যিনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত যুদ্ধবিমান চালানোর যোগ্যতা অর্জন করেন।

তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কঠোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং উচ্চগতির যুদ্ধবিমান উড়িয়ে দেখিয়ে দেন, নারীরাও যুদ্ধে সমানভাবে সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নিতে পারে।
আয়েশা শুধু একজন নারী পাইলট নন, তিনি দেশের নারীদের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তিনি সমাজে নারীর অবস্থানকে শক্তিশালী করেছেন এবং প্রমাণ করেছেন, সঠিক মনোবল থাকলে নারীরাও আকাশ ছুঁতে পারে। তার এই সাহসিকতা নতুন প্রজন্মের নারীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।

স্কোয়াডন লিডার আয়েশা ফারুক এমন একজন নারী যিনি সাহস, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে সমাজে নারীর অবস্থান নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি শুধু আকাশ জয় করেননি, জয় করেছেন লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষের মনও।

যুদ্ধের যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম ব্যক্তি আয়েশা ফারুক বলেছিলেন যে তিনি পুরুষ সহকর্মীদের মতো একই কাজ করবেন। তিনি তার দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত, এবং নির্ভুল বোমা হামলা করার ক্ষেত্রে তিনি নিজের এবং তার পুরুষ সহকর্মীদের মধ্যে কোনও পার্থক্য দেখেন না।

২৬ বছর বয়সী আয়েশা তার মাকে সাত বছর আগে বলেছিলেন যে তিনি বিমান বাহিনীতে যোগ দিতে চান। তাঁর মা প্রথমে রাজি না হলেও মেয়ের আগ্রহে পরে রাজি হয়ে যান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন