রাকিব হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন
খাগড়াছড়ির পানছড়ি সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র রাকিব হোসেনের হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযুক্ত পরিবার।
তাদের দাবি, সুনাম ক্ষুন্ন করতে তাদের ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহিৃত করে মূল ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মো. রিপন মিয়া ও তার পরিবার নিহত রাকিবের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানান, রাকিবের সাথে তার মেয়ের যোগাযোগ থাকলেও মৃত্যুর দুই মাস আগে থেকে বন্ধ হয়ে যায়। রাকিবকে মারধরের বিষয়টিও অসত্য। মূলত আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনাম ক্ষুন্ন করতে নিহত রাকিবের বাবাকে দিয়ে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন বর্তমান ইউপি সদস্য মো. রিপন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলন থেকে রাকিব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। এতে করে হত্যাকণ্ডের জট খুলবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. রিপনের স্ত্রী ছকিনা বেগম, তাদের তিন ছেলে হাসিবুল হাসান, আবুল হাশেম ও আবুল কাশেম এবং মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলী।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক মাস পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কলেজ পড়ুয়া রাকিব হোসেনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মো. রিপনের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় গত ১৯ জানুয়ারি রাতের আঁধারে পানছড়ি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা রাকিবের মোটর সাইকেল গতিরোধ করে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে রাকিবের পরিবারের পক্ষ থেকে পানছড়ি থানায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করতে চাইলে পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা নেয়। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের একমাস পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত আসামীদের গ্রেফতারে তালবাহানা করছে।