চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট বন্ধে বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজের স্মারকলিপি

রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

fec-image

রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বুধাবার (৪ সেপ্টেম্বর) চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট বন্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটি রিজিয়ন বরাবর আবেদনপত্র প্রদান করেন বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজের সহ সমন্বয়ক জুঁই চাকমা।

আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কাঠ, মাছ, বাঁশ, গবাদি পশু পালন, কৃষিপণ্য ও মৌসমী ফলের চাষাবাদের ওপর ৮০ শতাংশ মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। জেলার স্থানীয় জনসাধারণ বছরের পর বছর ধরে একটি সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রয়েছে। পাহাড়ে সকল ক্ষেত্রে অবৈধ চাঁদাবাজি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবর্তীত বাংলাদেশে আর কোন চাঁদাবাজি যেন না হয়, এমনটা প্রত্যাশা করে বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ।

রাঙামাটি জেলা শহরে বসে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নামে প্রতিনিয়ত সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ট্রাকপ্রতি কাঠের জন্য ১৪ হাজার টাকা করে বছরের পর বছর ধরে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জোত মালিক ও রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নাম ব্যবহার করে সাধারণ কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি-কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে স্থানীয় চাঁদাবাজদের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে বলেও আবেদনপত্রে জানানো হয়।

এছাড়া গত ৭-৮ মাস আগে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচনের নামে প্রহসন করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে অনৈতিকভাবে একটি সিন্ডিকেট রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ।

আবেদনপত্রে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটসমূহ চিহ্নিত করে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সকল গোয়েন্দা সংস্থা সমূহ, জেলা প্রশাসন এবং বনবিভাগের সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করা হয়।

আবেদনপত্র প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাঙামাটি বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজের সহ সমন্বয়ক জুঁই চাকমা। তিনি বলেন, চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট মুক্ত রাঙামাটি গঠতে চায় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ। যাতে জেলার সকলে শান্তিতে মিলেমিশে বসবাস করতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ, রাঙামাটি রিজিয়ন ছাড়াও স্মারকলিপির অনুলিপি কর্নেল জিএস, ডিজিএফআই শাখা, ডেট কমান্ডার, এএসইউ শাখা, বন সংরক্ষক, রাঙামাটি সার্কেল, জেলা প্রশাসক, জোন কমান্ডার, সদর জোন, পুলিশ সুপার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা বরাবর প্রদান করে। বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ সংগঠকরা নিজেরা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র এবং অনুলিপির কপি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন