রাঙামাটি মৎস্য খাতের উন্নয়ন তুলে ধরলেন সংশ্লিষ্টরা

fec-image

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে রাঙামাটিতে সংবাদ সন্মেলন করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জেলা মৎস্য প্রশিক্ষণ কার্যালয়ে এ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সন্মেলনে জানানো হয়, রাঙামাটি জেলায় এ্যানুয়াল পারপোম্যান্স এগ্রিম্যান্ট (এপিএ) কার্যক্রমের আওতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রদর্শনী খামার করা হয়েছে ৮টি, মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন করা হয়েছে ৪টি, উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা ছাড়া হয়েছে ১.৫ মে.টন, মৎস্য চাষী/ মৎস্য জীবি ৫৬০ জনকে পারমর্শ প্রদান, ৫২০ সুফল ভোগীকে পরামর্শ প্রদান এবং ৫০টি আইন বাস্তবায়ন প্রদান করা হয়েছে।

জেলেদের আইডি কার্ড প্রকল্পের আওতায় জেলার ২১ হাজার ৪৩২ জন নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ১৯ হাজার ৫২৬ জনকে আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনটিপি) প্রকল্পের আওতায় ২টি উপজেলার ১০ জনকে মৎস্য চাষীকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কিট বক্স প্রদান করা হয়েছে।

মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ শীর্ষক ১টি প্রকল্প ২০১২-২০১৮ সাল মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় ৩২২টি ক্রিক ও ১টি নার্সারী উন্নয়ন করা হয়েছে। কাউখালী উপজেলায় ১টি হ্যাচারী নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে রেণু ও মাছের পোনা উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন শীর্ষক ১টি প্রকল্প বর্তমানে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়।

এছাড়া ১০টি উপজেলার মধ্যে বরকল ও বিলাইছড়ি উপজেলায় মৎস্য বিভাগের কোন অফিস না থাকায় অতিসত্ত্বর অফিস নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন মহলকে ব্যবস্থা নিতে অবগত করা হয়েছে।

সন্মলনে আরও জানানো হয়- পার্বত্য চট্টগ্রাম পুরো দেশের চেয়ে ভিন্ন প্রকৃতির হওয়ায় এখানে বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস্য উন্নয়ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সন্মেলনে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন, বিএফডিসি’র ডেপুটি ম্যানেজার মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. সরওয়ার জাহাঙ্গীর, মৎস্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন