রামুতে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ : ধর্ষক আটক

fec-image

কক্সবাজারের রামুতে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে সিএনজি চালক ও তার কয়েকজন সহযোগী। সোমবার (৩০ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত সিএনজি চালককে আটক করেছে। আটক গিয়াস উদ্দিন (২৫) রামুর রাজারকুল ইউনিয়নের চৌকিদারপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একই এলাকার বাহার উল্লাহর ছেলে ওসমান গনিসহ অন্যান্যদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন-তার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। কয়েকদিন পর মেয়েটির চাচার বিয়ে। এ জন্য সোমবার বিকাল তিনটায় চাচার বাড়িতে যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি গাড়িতে মেয়েকে তুলে দিয়ে চালকের নাম্বার নেন তিনি।

সন্ধ্যায় দেবরের বাড়িতে ফোন করে জানতে পারেন-মেয়ে এখনো পৌঁছেনি। এ খবর পেয়ে মেয়েটির মা ও স্বজনরা তাকে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এসময় সিএনজি চালকের নাম্বারে কল করে সংযোগ বন্ধ পান। ৮টার দিকে সিএনজি চালকের ফোনে সংযোগ পেলে মেয়ের কান্নাকাটি শুনতে পান। এসময় মেয়েটি তাদের কবল থেকে বাঁচার আকুতি জানায়। এ ঘটনার ঘন্টাখানেক পর সিএনজি চালক মেয়েটির মাকে ফোন করে এবং মেয়েকে ফেরত দেয়ার শর্মে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। নইলে মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

এ নিয়ে সন্ধ্যায় রামু থানায় অভিযোগ দেন মেয়েটির মা। রাতে মা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, মেয়েকে রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি এলাকায় পাহাড়ি অরণ্যে নিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় মেয়েটির আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসে। পরে মেয়েটির মা এবং স্বজনরা সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন এবং সিএনজি চালক গিয়াস উদ্দিনকে হাতে-নাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। এসময় সিএনজি চালকের সহযোগি ওসমান সহ কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

উদ্ধারের পর মেয়েটি জানায়, সিএনজি চালক বিকালে তাকে চাচার বাড়িতে নেয়ার কথা বলে কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে সিএনজি চালক গিয়াস উদ্দিন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং অপর ২ যুবক তাকে শারিরীক নির্যাতন চালায়।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমিরুজ্জামান জানিয়েছেন-মেয়েটিকে আটক সিএনজি চালক গিয়াস উদ্দিন ধর্ষণ করার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তাকে সহযোগিতা করে আরো ২ জন। এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ, রামু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন