হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা : ৪৩ দেশকে হারিয়ে বাংলাদেশের ফারিহা তাসনিম প্রথম

বিশ্বের ৪৩টি দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বালিকা হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে বাংলাদেশী শিশু হাফেজা ফারিহা তাসনিম। গত ১৭ মে জর্দানের রাজধানী আম্মানে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ফারিহা তাসনিম মাত্র ছয় বছর বয়সেই নেছার আহমাদ আন নাছিরীর পরিচালিত মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল থেকে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করেন।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সৌদি আরব ও তৃতীয় হয় লিবিয়ার অপহর এক শিশু। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্দানের ধর্মমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ নুহসহ বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক, রাষ্ট্রদূত ও সরকারি কর্মকর্তারা। মুহাম্মদ নুহ বিশ্বের সেরা হাফেজা ফারিহা তাসনিমকে আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রধান করেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের হাফেজ ছেলেদের পাশাপাশি হাফেজ মেয়েরাও বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারের গৌরব অর্জন করছে। আমি বাংলাদেশের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করছি। এর আগে গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশের বালিকা হাফেজদের মধ্যে চূড়ান্ত বাছাইয়ে বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সভাকক্ষে প্রথম স্থান অধিকার করে ফারিহা তাসনিম, দ্বিতীয় স্থান আমেনা ও তৃতীয় স্থান রাফিয়া হাসান জিনাত। এ তিনজনই হাফেজ নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মহিলা হিফজ বিভাগের ছাত্রী।
একই মাদরাসার পুরুষ বিভাগের ছাত্র হাফেজ মহিউদ্দিন ২০১২ সালের আগস্টে আলজেরিয়ায় ৬০টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় ও ডিসেম্বরে সৌদি বিশ্ব হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৭৩টি দেশের মধ্যে ৩০ পারা গ্রুপে অন্ধ হাফেজ তানভির এবং ১০ পারা গ্রুপে সা’আদ সুরাইল দুজনই প্রথম স্থান অধিকার করে।
তাদের এ সাফল্যের মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে ৩৪ বছরের কোরআন প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দেশ প্রতিটি গ্রুপে প্রথম স্থান লাভ করে। বিজ্ঞপ্তি

















