‘মিলাদুন্নবী, দুর্গাপূজা ও চিবরদান অনুষ্ঠানে নাশকতা ঠেকাতে সকলকে সচেতন হতে হবে’
ঈদে মিলাদুন্নবী, দুর্গাপূজা ও কঠিন চিবরদান অনুষ্ঠানে নাশকতা ঠেকাতে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলকে সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাংসদ দীপংকর তালুকদার।
রবিবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা সদরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, করোনার প্রকোপ কাটিয়ে এবার উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপন হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা রক্ষায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। জেলার সকল মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তবে কিছু দুর্গম এলাকায় এই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এক শ্রেণির উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ধর্মীয় উৎসবের সময়টা বেছে নেয়। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই শারদীয় দুর্গাপূজা, মুসলিমদের আসন্ন ঈদে মিলাদুন্নবী ও কদিন পরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চিবরদান অনুষ্ঠানে সকলেই সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও প্রশাসনকে কড়া নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করারও আহ্বান জানান এই সংসদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদিব কান্তি দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর জামাল হাওলাদার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অশোক তালুকদার, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিমল হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক আকাশ কর্মকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অতিথিরা পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে দীপংকর তালুকদার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
এর আগে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই পূজা মণ্ডপে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে নানিয়ারচর জোন (১০ বীর)। জোন প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন আসিফ এই অর্থ সহায়তা পূজা উদযাপন কমিটির হাতে তুলে দেন।
শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে নানিয়ারচর সেনাবাহিনী। মণ্ডপে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল আনসার ভিডিপি।