অবহেলিত এক জনপদের নাম পশ্চিম বাইশারী
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন সদরে অবস্থিত এক অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত জনপদের নাম পশ্চিম বাইশারী ।
শিক্ষাদিক্ষা সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও গ্রামটি রয়েছে উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে। বাইশারী ইউনিয়ন সদরের ৭নং ওয়ার্ড ও কলেজ মাঠ সংলগ্ন গ্রামটিসহ আরও দশটি গ্রামে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এক বছর পুর্বে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি পিআই ও ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ব্রীজটি নির্মাণের পর উভয় পার্শ্বে মাটি দিয়ে ভরাট করার থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোন রকম দায়সারাভাবে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় অনেকেই।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাঈদ জানান ব্রীজটি নির্মানের পর থেকে দুঃখ দুর্দশা আরেও বেড়ে যায়। ব্রীজটির উভয় পার্শ্বে গাইড ওয়াল ও গার্ডার নেই। অল্প কিছু যাহা মাটি দিয়েছিল তাও গত বর্ষা মৌসুমে খালের পানিতে শেষ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন স্থানীয়দের অর্থ সহায়তায় মাটি দিয়ে কোন রকম জনসাধারণ চলাচল করছে বর্তমানে। কিন্ত বর্ষা মৌসুম শুরু হলে যেই লাউ সেই কদু।
সরজমিনে দেখা যায় বাইশারী সদরে গ্রামটির অবস্থান হলেও যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কাচা রাস্তা ও ব্রীজটি। ব্রীজের উভয় পাশ্বে কাদামাটিতে একাকার। বৃষ্টি শুরু হলে যাতায়াতে খুবই কঠিন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীরা আছাড় খেয়ে হাত পা ভাঙ্গে ও কাদা পানিতে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে যায়।
সরজমিনে আরও দেখা যায় বাইশারী কলেজ মাঠ সংলগ্ন ব্রীজটির উপর ও সড়ক দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার লোকজনের যাতায়াত হয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ টি, কেজি, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বাজারের লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। কিন্ত সড়ক ও ব্রীজটির বেহাল দশায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শাহ নুরুদ্দিন দাখিল মাদ্রসার সিনিয়র শিক্ষক আবদুল গফুর বলেন ব্রীজটি নির্মাণ হলে ও ব্রীজের উভয় পাশে ইট না দেওয়ায় বৃষ্টি হলেই চলাচল বন্ধ হয়ে করুন দশায় পরিনত হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আজিম জানান ব্রীজটি নির্মাণ হলে ও এই এলাকার জনগণের দুঃখ দুর্দশা রয়ে গেল। তিনি পরিষদ চেয়ারম্যান কে জানাবেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন বিষয়টি তার মনে আছে এবং জেলা পরিষদের কাছে উক্ত সড়কের কাগজ পত্র পাঠানো হয়েছে। ইনশাল্লাহ সমাধান হয়ে যাবে।
এলাকাবসী সড়ক ও ব্রীজের উপর দিয়ে জনসাধারণ চলতে পারে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।