অবৈধ ইট ভাটা: বান্দরবানের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ১০ বছরের জেল ও জরিমানা
বান্দরবানের থানচি উপজেলার তাজিংডং পাহাড়ের নিচে পরিবেশ বিধ্বংসী অবৈধ ইট ভাটা পরিচালনার দায়ে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছকে ১০ বছরের জেল ও ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রামম্যান আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে বান্দরবান অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক ও পরিবেশ আদালতের বিশেষ স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন এই দণ্ড প্রদান করেন। রায়ের পর আসামি আবদুল কুদ্দুসকে বান্দরবান জেলা কারাগারো পাঠানো হয়।
জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়ের করা ৩১/১৯নং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনের ২০১৩ এর ১৪ ধারা মতে আবদুল কুদ্দুসকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। একই মামলার ১৫ ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। ১৬ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। ১৮ ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ১লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর ১৫ (১) টেবিল জস-১২ অনুযায়ী) ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জেল জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান পরিবশে অধিদপ্তরের উপরিচালক একেএম সামিল আলম কুরসি। তিনি জানান- এর আগে ওই ইটভাটায় জরিমানা করা হয়েছিল এবং দ্রুত ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আদেশ মানেনি ইটভাটা মালিক।
এদিকে সাবেক এই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় বুধবার জেলা শহর জুড়ে মানুষের মাঝে আলোচনার বিষয় ছিল। এই মামলার রায়ের পর সচেতন পরিবেশবাদীরা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এই ধরণের অভিযান জেলার প্রতিটি অবৈধ ইট ভাটায় পরিচালার দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে আবদুল কুদ্দুস এর সহকর্মী ও তাঁর অনুসারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন- ইটভাটার চুক্তিপত্রে আবদুল কুদ্দুস এর নাম নেই বলে দাবি করেছেন।