অভিভাবকহীন দুই পরিবারে ঈদ উপহার পৌঁছে দিলেন চেয়ারম্যান-ইউএনও

fec-image

করোনার সংক্রমন ঠেকাতে দেশব্যাপী চলছে সাধারণ ছুটি আর লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে চরম বিপাকে হাঁসফাঁস অবস্থা পাহাড়ের খেটে খাওয়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। এ পরিস্থিতিতে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে মাটিরাঙ্গার গাজিনগরে বিজিবির গুলিতে নিহত মো. মফিজ মিয়া ও মো. সাহাব উদ্দিনের পরিবার।

একদিকে স্বামীকে হারিয়ে ছেলে-মেয়ে নিয়ে অতিকষ্টে দিন কাটছে নিহত মফিজ মিয়ার স্ত্রী আর অন্যদিকে দুই ছেলেসহ স্বামীকে হারিয়ে দুই বিধবা পুত্রবধুকে নিয়ে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী রঞ্জু বেগম। তারা এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। খেয়ে না খেয়েই দিন কাটছে তাদের।

পবিত্র রমজান শেষে ঈদ উল ফিতর। ঈদ করা নিয়ে যখন অভিভাবকহীন এ দুই পরিবারের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা তখন শুক্রবার (২২ মে) দুপুরের দিকে ঈদ উপহার নিয়ে তাদের বাড়িতে ছুটে গেলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।

এসময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মাটিরাঙ্গার গাজিনগরে বিজিবির গুলিতে নিহত মো. মফিজ মিয়া ও মো. সাহাব উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের হাতে ঈদ উপহার ও নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। অপ্রত্যাশিত ঈদ উপহার ও নগদ আর্থিক সহায়তা পেয়ে অভিভাবকহীন এ দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গাজিনগরে বিজিবির গুলিতে নিহত মো. সাহাব উদ্দিনের বড় মেয়ে বলেন, বিজিবি আমার বাবা ও দুই ভাইকে সামনে থেকে গুলি করে মারলেও আমরা এখনো সে বিচার পাইনি। স্বামী আর দুই সন্তানকে হারিয়ে আমার মা এখন অসুস্থ। আমরা সাহায্য নয় এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সবাই ঈদ করবে আর তারা অর্থাভাবে ঈদ করতে পারবেনা এমন খবরেই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঈদ উপহার পৌঁছে দিলাম।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ঈদ উৎসবকে তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমরা এসেছি। সবসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন এই দুই পরিবারের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, মাটিরাঙ্গা, লকডাউন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন