আমেরিকা প্রবাসী আবুল কাইছার রামুবাসীর জন্য আলোক বর্তিকা

ramu pic abul kaisar 14.05.16

নিজস্ব প্রতিনিধি:

ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি চালু করে ৫ ইউনিয়নের স্কুল-মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করেছেন। নিজ অর্থায়নে সংস্কার করেছেন অনেক সড়ক ও কালভার্ট, এলাকার কোন বসত বাড়ি পুড়ে গেলে দেওয়া হয় অর্থ সহায়তা। শিক্ষা বঞ্চিত ও ঝরে পড়া মেধাবি শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় শিক্ষা সহায়তা। সহায়তা দেন এলাকার শীতার্ত, গরিব ও কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবারকেও। খরা, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তরাও পান ত্রান সহায়তা। এলাকার শিক্ষা, ধর্মীয় ও সেবামূলক সংগঠনগুলো পায় পৃষ্ঠপোষকতা। সূদুর আমেরিকায় অবস্থান করেও নীরবে জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন আবুল কাইছার।

শিক্ষার প্রসার, হতদরিদ্র মানুষের দূর্দশা লাঘব কিংবা এলাকার ছোট খাটো অবকাঠামো সংস্কার করে জনকল্যাণে ভুমিকা রাখার পেছনে নিশ্চয় অনেকের স্বার্থনিহিত থাকে। কিন্তু নিঃস্বার্থভাবে আবুল কাইছারের সমাজসেবার নানামুখি কর্মকা- এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

আবুল কাইছার রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এলাকার মরহুম আহমদ কবির চৌধুরী জুনু মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ডিভি লটারিতে উত্তীর্ণ হয়ে স্বস্ত্রীক আমেরিকায় পাড়ি জমান আবুল কাইছার। স্বপ্নের দেশ আমেরিকা গিয়েও নিজের দেশ আর এলাকাকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন আবুল কাইছার। সেখানে নিজের কষ্টার্জিত অর্থ বিলাসিতায় ব্যয় না করে তিনি স্বপ্ন দেখেন এলাকার খেটে খাওয়া মানুষকে নিয়ে। পরিকল্পনা নেন, এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের।

শিক্ষাক্ষেত্রে চরমভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকাকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে নিজের বাবা মরহুম আহমদ কবির স্মৃতি ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ২০১০ সালে চালু করেন, আহমদ কবির স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা। ওই বছর থেকে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি, রাজারকুল, চাকমারকুল, খুনিয়াপালং, ফতেখাঁরকুলসহ ৫টি ইউনিয়নের স্কুল-মাদরাসার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছে।

এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, আমেরিকা প্রবাসী আবুল কাইছার একজন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ। সামাজিক দায়মুক্তির লক্ষ্যে আলোক বর্তিকা হয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তার সমাজ ও জনকল্যাণমূলক প্রতিটি কর্মই অনন্য, অসাধারণ, অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্তমূলক। আবুল কাইছারের মতো মানবিক মানুষ বাড়লেই সুখি-সমৃদ্ধ দেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।

স্থানীয়রা আরো জানান, আবুল কাইছার এলাকা থেকে ২৪ হাজার মাইল দূরে থাকলেও তিনি সব সময় এলাকার খেটে খাওয়া মানুষসহ সকলের খবরা-খবর রাখেন। জনদরদি এ মানুষটি যদি এলাকায় অবস্থান করতেন তাহলে আগামী ২৮ মে ও ৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য রামুর ১১টি ইউপি নির্বাচনে আবুল কাইছারের সমর্থিত প্রার্থীকেই অনেক ইউনিয়নে এলাকাবাসী ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন