আলীকদমে এনজিওর প্রকল্পে স্থানীয়দের নিয়োগ দাবিতে মানববন্ধন

fec-image

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন এনজিও’র প্রকল্পে স্থানীয় শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় আলীকদম প্রেসক্লাবের সামনে ‘সম্মিলিত ছাত্র ও যুব সমাজ’ এর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে স্থানীয় শিক্ষিত বেকার ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বিভিন্ন দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মানব বন্ধন শেষে ৫টি অনুচ্ছেদে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত এক স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে প্রদান করা হয়।

উপজেলার ৯৮ জন শিক্ষিত বেকারের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, আবেদনকারিগণ আলীকদম উপজেলার সকল দলমত নির্বিশেষে শিক্ষিত বেকার যুবসমাজ।

স্বাক্ষরকারীদের অন্যতম উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সৌরভ পাল ডালিম। তিনি স্মারকলিপির তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০১১ সালের আদমশুমারী মতে আলীকদম উপজেলার জনসংখ্যা ৫০ হাজার। এ উপজেলার ক্রমবর্ধিঞ্চু জনগোষ্ঠীর মাঝে বর্তমানে শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়ের সংখ্যা আনুমানিক ২ হাজার। এই ২ হাজার শিক্ষিত বেকার যুবসমাজের সামান্য অংশই বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সরকারি অন্যান্য দপ্তরে নিয়োগ পাচ্ছে। কিন্তু সরকারি চাকুরীর বাইরে থাকছে এ উপজেলার শিক্ষিত বেকার যুবসমাজের বিশাল অংশ।

মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মংব্রাচিং মার্মা, সাধারণ সম্পাদক দুংড়ি মং মার্মা, আওয়ামী লীগ নেতা সমর রঞ্জন বড়ূয়া, ইছহাক আহমদ মেম্বার ও মুরুং নেতা ইয়োংলক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌরভ পাল ডালিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেলসহ একাধিক নেতাকর্মী।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, গত দুই দশক থেকে আলীকদমে বিভিন্ন এনজিও’র একাধিক প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। কারিতাস, গ্রীণহিল, গ্রাউস, বিএনকেএস, সোনে ইন্টারন্যাশনাল, একতা মহিলা সমিতি ও দাতা সংস্থা ইউএনডিপিসহ একাধিক এনজিও’র উন্নয়ন প্রকল্পে স্থানীয় নিয়োগ পাচ্ছে না। এসব প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলের ৯৯% ভাগই ভিন্ন জেলা কিংবা উপজেলার। প্রতিবছর এ উপজেলায় বাড়ছে জনসংখ্যা। সেই সাথে বাড়ছে শিক্ষিত বেকার যুবসমাজের সংখ্যাও।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, অনেক এনজিও’র প্রকল্পগুলোর কাজ দৃশ্যমান নয়। এসব প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর আগে উপকারভোগী জনগোষ্ঠী বাছাইয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসমুহের সাথে সমন্বয় করা হয় না। পাশাপাশি জনবল কাঠামো নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে না এননিজওসমুহ।

স্থানীয় শিক্ষিত যুবসমাজের কর্মসংস্থান না হলে হতাশা থেকে এদের অনেকে বিপথে পা বাড়ানোর আশংকা প্রকাশ করে আলীকদমে কর্মরত বিভিন্ন এনজিও’র জনবল কাঠামোর সকল স্তরে মধ্যে শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়েদের জন্য ৮০% কোটা সংরক্ষণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আলীকদম প্রেসক্লাবে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এনজিও
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন