গরু পাচারের মাশুল!

ঈদগাঁওয়ে ২ যাত্রী অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

fec-image

কক্সবাজারের পাহাড়ি জনপদ ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে ছোট বড় অর্ধডজন যানবাহন ডাকাতির শিকার হয়েছে। এসময় ডাকাতদল দুই যাত্রীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে বলেও জানা গেছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ঈদগাঁও ইউনিয়নের পাহাড়ি বন এলাকা সাঁততারা ঘোনা ঢালা সড়ক অংশে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃতরা হল, পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের তুফান আলী পাড়া ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু তাহের পিতা- গফুর ও একই এলাকার ছৈয়দুল হকের ছেলে রিফাত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন রাতে যাত্রী নিয়ে ঈদগাঁও থেকে বাইশারীর উদ্দেশ্যে যাওয়া কয়েকটি সিএনজি ও মোটরসাইকেলের যাত্রীকে সড়কে অবস্থান নেয়া সশস্ত্র ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এ সময় ডাকাত দল সিএনজিতে থাকা দুই যাত্রীকে জিম্মি করে পাহাড়ি বনের দিকে নিয়ে যায় । পরে ডাকাতদল পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবী করে বলে জানা যায় ।

ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবিরকে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি ।

তবে ঘটনার পরপর সংবাদ পেয়ে ঈদগাঁও থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে বলে নিশ্চিত করছেন ঘটনাস্থল এলাকার ব্যবসায়ী বাবুল।

এ সময় বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাত ৩টার দিকে অপহরণকারীরা মোবাইলে অপহৃতদের পরিবারের কাছ থেকে প্রতি জনের জন্য ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে বলে পরিবারের সদস্যরা তাকে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ডাকাত ও অপহরণচক্র অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে খ্যাত এ সড়কে দীর্ঘদিন যাবত অপরাধ অনেকটা কমেছিল। এতে পাহাড়ি এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারি লাখো জনগোষ্ঠী অনেকটা স্বস্তিতে ছিল।

এছাড়া সম্প্রতি উক্ত পাহাড়ি এলাকাকে মায়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা গরু পাচারে স্থানীয় ও বহিরাগত একটি প্রভাশালী সিন্ডিকেট নিরাপদ জোন হিসেবে বেচে নেয়। নির্বিঘ্নে গরু পাচার অব্যাহত রাখতে গরু পিছু কমিশন ভিত্তিতে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকা অপরাধীরা এলাকায় ফিরে আসে। এরপর থেকেই ঈদগাঁও ও আশ-পাশের এলাকা দিয়ে গরু পাচারের সাথে ডাকাতি,অপহরণ ও খুন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এতে করে জনমনে দিন দিন আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি এ পথ দিয়ে পাচারকৃত গরুর চালান নিয়ে নানা কান্ড ঘটলেও প্রশাসনকে কার্যকরী ভুমিকা নিতে দেখা যায়নি বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।যার মাশুল দিচ্ছে এখন এলাকার সাধারণ জনগণ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন