ঈদগাঁহতে চালককে নদীতে ফেলে দিয়ে টমটম ছিনতাই

fec-image

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁহতে  চালককে  নদীতে ছুঁড়ে ফেলে  টমটম ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনায় জড়িত কেউ আটক বা ছিনতাইকৃত টমটম উদ্ধার  সম্ভব হয়নি। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে  পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেছে ভিকটিম।

গত ২১ জুলাই রাত  ১০ টার দিকে ঈদগাঁহস্থ পোকখালী  ইউনিয়নের মধ্যেম পোকখালী সিকদার পাড়া কাট্রইল্লার কুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিলম্বে পাওয়া অভিযোগে  জানা যায়, ঈদগাঁহ সদর  ইউনিয়নের উত্তর মাইজ পাড়ার  আবদুল করিমের ছেলে টমটম চালক আনোয়ার হোসেন প্রতিদিনের মত যাত্রী বহনে টমটম নিয়ে চৌফলদন্ডী ব্রীজ এলাকায় অবস্থান করছিল।

এ সময় অজ্ঞাতনামা এক যাত্রী  পশ্চিম পোকখালী যাওয়ার কথা বলে ৩শ টাকায় টমটমটি ভাড়া  করে। টমটম চালক আনোয়ার গন্তব্যস্থলে যাওয়ার  পথে মোক্তার মৌলভীর ব্রীজ এলাকায় পৌঁছলে টমটম থামিয়ে অজ্ঞাতনামা আরো ৩ জন যাত্রী উঠে। তাদের কথামত উত্তর পাড়া হয়ে কাট্রইল্লার কুম এলাকায়  পৌছলে কিছু বুঝে উঠার আগে টমটমে থাকা  ৪ যাত্রী  চালক আনোয়ার হোসেনের মুখ চেপে ধরে মারধর করলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।

মারধর থেকে  রক্ষা পেতে আকুতি জানালে তার লুঙ্গি ছিঁড়ে  হাত-পা বেঁধে  আনোয়ারকে ঈদগাঁহ  নদীতে ছুঁড়ে মারে।পরে টমটমটি নিয়ে পালিয়ে যাই। ভাগ্যক্রমে আনোয়ার নদীতে থাকা  বাঁশের ঝাড়ে আটকা পড়ে ।তার  শোর চিৎকারে  লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঈদগাঁহস্থ একটি  ক্লিনিকে ভর্তি করে।

ছিনতাইয়ের শিকার টমটম চালক আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করতে না পারলেও পরে খোঁজ  নিয়ে  ঘটনায় জড়িতদের  পরিচয় জানা গেছে।ঘটনায় জড়িত অভিযোগে  পোকখালী ইউনিয়নের পুর্ব পোকখালী সিকদার পাড়ার  আবদুল গণির ছেলে ইমাম হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ ও অজ্ঞাত একজনসহ চার জনকে বিবাদী করে  ২৪  জুলাই রাতে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ঈদগাঁহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ  দায়ের করেছে।

ঈদগাঁহ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক ও ছিনতাইকৃত টমটম উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন