ঈদের নামাজ আদায়ের পর স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু
ঈদের নামাজ আদায়, প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়, ঈদের আনন্দ উদযাপন এবং সর্বশেষ দুই ঘন্টা পূর্বে ফেসবুকে ঈদ আনন্দের ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা বিনিময়। মুহূর্তেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন রশিদ নগর নাদেরুজ্জমান উচ্চবিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মো. হারুনর রশিদ।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
স্থানীয় সাংবাদিক মিছবাহ উদ্দিন জানান, ঈদগাঁও মেহেরঘোানা গ্রামের বাসিন্দা ও রামু উপজেলার রশিদ নগর নাদেরুজ্জমান উচ্চবিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মো. হারুনর রশিদ যথারীতি আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে পরিবারের সদস্য ও বন্ধু বান্ধব ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে স্থানীয় মসজিদে ঈদের সালাত আদায় করেন।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মসজিদের সামনে দাড়িয়ে সহপাঠীদের সাথে ক্যামেরায় ছবিও নেন। পরবর্তীতে নিজ ফেসবুক আইডিতে আপলোড দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রতিবেশী ঈদগাঁও কেজি স্কুলের শিক্ষক সুলতান আহমেদ বাসায় গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে বাসায় ফিরে হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন তিনি। পরে তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। তবুও মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাসপাতালে নেওয়া হলো কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর দুই ঘন্টা পূর্বেও তিনি ফেসবুকে এক্টিভি ছিলেন। আকস্মিকভাবে তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তা মুহূর্তেই সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তার মৃত্যু সংবাদটি এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক শোকের আবহ তৈরি করেছে।
ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তে উনার মৃত্যুর সংবাদ সবাই চরম ব্যাতিত করেছে। এলাকার এ প্রিয় সন্তানের আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে লাশ বাগিতে পৌঁছার পূর্বেই শেষ বারের মত একনজর দেখতে জনতা ভীড় করছে বলে জানা গেছে।
পরিবার সূত্র জানা যায, আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় স্থানীয় মেহেরঘোনা ইউনুছিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হবে। সর্বশেষ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মরদেহ বাড়িতে পৌঁছেছে।