উখিয়ার কোটবাজার-ভালুকিয়া রোড নিয়ে জনগণের চরম দুর্ভোগ
উখিয়া কোটবাজারের জনগুরুত্বপুর্ণ সড়ক হচ্ছে কোটবাজার-ভালুকিয়া সড়ক। এই সড়কটি দিয়ে হাটতে গেলে মাথা নিচু করে হাটতে হয়। গাড়িতে চড়তে গেলে হাড় মাংস এক হয়ে যায়। অসবধানতায় যদি কেউ পা বাড়ায় তাহলে পিচ্চিল খেয়ে কোমর ভাঙ্গা ঝুঁকিতো আছেই, তাছাড়াও ওই সড়কের ময়লা যুক্ত পানি এসে গায়ে পড়লে গোসল ছাড়া নামাজ আদায় সম্ভব নয়।
দোকানের নিচ দিয়ে বেয়ে আসা পানির শ্রুতধারা দেখে পানি মনে হলেও প্রকৃত ঝর্ণাধারার কোন পানি নয় এগুলো পার্শের মার্কেটের সেপটি ট্যাংক ও নর্দমা থেকে গড়িয়ে আসা মল মুত্রের নির্ঘিত রসের ভান্ডার। তাছাড়াও পাশ্ববর্তী কিছু হোটেল রেস্তোরার বর্জ্য ক্ষুদ্র নালা দিয়ে এসে ভরে যাওয়ার কারনে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে স্টেশনের সর্বত্রে। ফলে ভালুকিয়া সড়কের ব্যবসায়ী ক্রেতাদের নাকে রুমাল দিয়ে বিকিকিনি করতে হয়। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে জনবহুল স্টেশন কোটবাজার ভালুকিয়া সড়কে।
গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা নয়, সারা বছরই কাদা মাটি আর ময়লা পানিতে ডুবে থাকে এ ভালুকিয়া সড়ক। এ যেন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য বারো মাসই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এক যুগের বেশি সময় ধরে চলে আসা চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে কয়েক বার ব্যবসায়ীর সড়কে আমন ধানের চারা রোপন করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করেও কাংখিত কোন ফলাফল অদ্যবদি পাওয়া যায়নি। এছাড়াও স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে স্ব-চিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনী কর্তৃপক্ষের। তবে বেশ কয়েক বার উপজেলা প্রকোশলী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে সড়কটির উন্নয়নের লক্ষে পরিদর্শন করে গেলেও তা আলোর মুখ দেখেনি এখনো।
ভলুকিয়া সড়কের ব্যবসায়ী ইসকান্দর মির্জা সওদাগর , ফিরোজ আহমদ সওদাগর , শাহ আলম সওদাগর , বেলাল উদ্দিন সওদাগর , ও বাবুল সওদাগর সহ একাধিক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ক্ষোভের সাথে বলেন, দেশে সরকার আসে সরকার যায়, উন্নয়নে দেশ ভরে যায়, দুর্ভাগ্য ভালুকিয়া সড়কের চরম দুর্ভোগের একমাত্র কারণ ৫০ গজ রাস্তার কোন উন্নয়ন দেড় যুগেও হয়নি। তারা আরো বলেন সড়কের উত্তর পার্শ্বের মার্কেট থেকে নালা, নর্দমা ও মল মুত্রের সেপটি ট্যাংক থেকে পানি এসে সড়কে একাকার হয়ে যাওয়াতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যপারে স্থানীয় মেম্বার মোকতার আহমদ ও আবদুল গফুর মেম্বার বলেন, সড়কটি প্রয়োজনীয় উন্নয়নের লক্ষে চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী যাতায়াত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সড়কটি এলজিইডির আওতাভুক্ত হয়েও তারা সেদিকে কোন প্রকার সুদৃষ্টি না দেয়ার অচিরেই বাজার উন্নয়ন ফান্ড থেকে টেন্ডার আহ্বান করার মধ্যদিয়ে শীঘ্রই নালা নর্দমা তৈরিসহ ভাঙ্গা সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।
উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।