উখিয়ায় পত্রিকার হকারদের পরিবারে নেমে এসেছে হতাশা
মহামারী করোনা ভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় উখিয়ায় পত্রিকা বেচা বিক্রি বন্ধ থাকার ফলে আয় রোজগারের সুযোগ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে পত্রিকার হকাররা।
৬৪ বছর বয়সী উখিয়া সংবাদ বিতানের মালিক আমিন উল্লাহ জানান, কোনো স্থায়ী দোকান নেই। ফুটপাতে বসে পত্রিকা বিক্রি করে কোনো রকম সংসার চালিয়ে আসছিলাম, বর্তমানে করোনা ভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে আট সদস্যের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। রমজান মাস হওয়ার ফলে নিদারুন কষ্ট হচ্ছে সংসার চালাতে। তারপরও খেয়ে না খেয়ে রোজা রাখছি।
উখিয়ার আরেক হকার জাফর আলম জানান, জীবনে এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি গত বছরও। পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। ছেলে মেয়ে গুলো খাবারের জন্য কাঁদে কিন্তু মুখে খাবার তুলে দিতে পারছিনা, যদি কেউ এগিয়ে আসতো তাহলে অনেক উপকার হতো।
হকার জাফর আরও বলেন, আমার মতো বেশ কয়েকজন হকার মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখনো কেউ তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। সরকারি বা বেসরকারি কোনো ত্রাণ সামগ্রীও পায়নি।
উখিয়া হকার সমিতির সভাপতি একরামুল হক জানান, কোভিড-১৯ কারণে পত্রিকা গুলো বন্ধ রয়েছে। যার ফলে আয় রোজগার বন্ধ থাকায় অনাহারে অর্ধাহারে সংকটময় মুহূর্ত পার করছি। তিনি সরকারি বেসরকারিভাবে সকলকে তাদের পাশে থাকার অনুরোধ করেছেন।
এ ব্যাপারে উখিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণত সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুল বলেন। পত্রিকা বিক্রি করে যে হকারদের সংসার চলে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে সারাদেশে লকডাউনের পাশাপাশি পত্রিকা গুলো বন্ধ রয়েছে, যার ফলে হকারেরা পত্রিকা বিক্রি করে পরিবারের ভরনপোষণ করা এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি পত্রিকার মালিকসহ বিত্তবানদের তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।