উখিয়ায় শিশুকে যৌন হায়রানির অভিযোগ
উখিয়ার সোনারপাড়া হেফজখানার দায়িত্বরত হাফেজের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীরকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও মুসল্লিদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকায় এ ঘটনাটি জানাজানি হলে জনগণের রোষানাল থেকে বাচঁতে অভিযুক্ত হাফেজ রেজাউল করিম গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
হেফজ খানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুর হোসেন ও যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ লম্পট হাফেজ রেজাউল করিমের অনৈতিক ঘটনায় জড়িত বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অভিযুক্ত হাফেজ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজাছড়া গ্রামের ছৈয়দ আহমদ ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম সোনার পাড়া জামে মসজিদ দারুল কোরআন হেফজ খানা ও এতিম খানায় গত ৩ বছর ধরে শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন হাফেজ রেজাউল করিম। একই সাথে তিনি মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, হেফজ খানায় পড়–য়া শিক্ষার্থীদেরকে নানা ধরণের যৌন হয়রানি করে আসছিল। এমনকি রাতে শিক্ষার্থীদেরকে জোর পূর্বক বলৎকার করাসহ অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়াতো লম্পট হাফেজ রেজাউল করিম।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতির (১৬ মে) রাতে লম্পট হাফেজ এক শিশু শিক্ষার্থীকে (সংগত কারণে নাম গোপণ রাখা হল) রুমে আটকিয়ে জোর পূর্বক বলৎকার করছিল। ওই সময় শিশুটি চিৎকার এবং কান্নাকান্নি শুরু করলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাটি দেখে ফেলে। এলকায় ঘটনাটি জানাজানি হলে জনগণের রোষানাল থেকে বাচঁতে ওই হাফেজ পালিয়ে যায়।
নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, লম্পট হাফেজ রেজাউল অনেক শিশু শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিনিয়ত জোর পূর্বক বলৎকার করে আসছিল। কেউ অসম্মতি জানালে ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। এ ভয়ে কেউ এতদিন মুখ খোলেনি। লম্পট অভিযুক্ত হাফেজের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রাম বাসিরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পশ্চিম সোনার পাড়া জামে মসজিদ দারুল কোরআন হেফজ খানা ও এতিম খানার সভাপতি নুর হোসেন জানান, শিশু বলৎকার ও যৌন হয়রানির ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হাফেজ রেজাউল করিম প্রতিষ্ঠানে ৭ দিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছে। মোবাইলে যোগাযোগ করলে এই হাফেজ তার অনৈতিক কর্মকান্ডের দোষ স্বীকার করে মাফ চান।
তিনি আরও বলেন, দোষ স্বীকারকারী লম্পট হাফেজকে মসজিদ ও হেফজখানা থেকে চাকরিচ্যুত করা হবে।