‘এক চীন নীতি’ সমর্থনে বাংলাদেশের প্রতি খু‌শি চীন

fec-image

চী‌নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ‘এক চীন নীতি’ নি‌য়ে বাংলা‌দে‌শের অবস্থানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক‌রে‌ছেন। রোববার (৭ আগস্ট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের স‌ঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠ‌কে এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক‌রেন তিনি।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের ব‌লেন, ‌‌‌গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের বিষয়ে তারা বিস্তারিত বলেছেন। এটা আলোচনার বিষয় নয়। কারণ আমাদের প্রা‌য়ো‌রি‌টি‌তে আরও অন্যান্য জিনিস আছে। এটা নি‌য়ে তারা (চীন) নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী ব‌লেন, ‘এক চীন নীতি’ আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি, এজন্য চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম ব‌লেন, তাইওয়ান ইস্যুতে তারা আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মানার বিষয়টিতে জোর দিয়েছে। তারা আমাদের কাছে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।

বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ অব্যাহতভাবে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলবে বলে গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের আইনসম্মত ও ন্যায্য অবস্থান বুঝবে এবং সমর্থন করবে ঢাকা- এমনটাই মনে করেন রাষ্ট্রদূত।

চীনের রাষ্ট্রদূতের বিবৃতির পর বাংলা‌দে‌শের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীন ও তাইওয়ান ইস্যুতে একটি বিবৃতি প্রকাশ ক‌রে। এ‌তে বলা হ‌য়ে‌ছিল, বাংলাদেশ সরকার চীনের ‘এক চীন নীতি’র প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।

সফ‌রের দ্বিতীয় দিন সকা‌লে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের স‌ঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ক‌রেন ওয়াং ই। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার স‌ঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ক‌রেন তিনি।

সকল আনুষ্ঠানিকতা শে‌ষে রোববার সকাল ১০টা ৪৫ মি‌নি‌টে ম‌ঙ্গো‌লিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ ক‌রেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তা‌কে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন