এবার বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দাবী করলো বিজেপি

 
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী বাংলাদেশের কাছে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত সমান্তরাল রেখা টেনে এই জমি ভারতের হাতে ছেড়ে দিক বাংলাদেশ।

সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির এই শীর্ষ নেতার যুক্তি হলো, দেশ ভাগের পর অধুনা বাংলাদেশ থেকে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশকে। অন্যথায় এসব মুসলমানের সংস্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড জমি ছাড়তে হবে ঢাকাকে।

শনিবার আসামের শিলচর থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ এ খবর দিয়েছে।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামীর যুক্তি হলো-সৌদি আরব, কুয়েত, কাতারসহ বিশ্বের যেসব দেশে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য সেখানে হিন্দুরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এমনকি প্রকাশ্যে ধর্ম পালনেরও অধিকার নেই তাদের। একমাত্র ভারতেই যেহেতু হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই এই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ। ফলে সীমান্তপার (বাংলাদেশ) অনুপ্রবেশ সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

সাময়িক প্রসঙ্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃটেনের হাউজ অব কমন্সে ১৯৪৭ এর জুনে ভারতের দেশভাগ নিয়ে বিতর্ক এবং ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স অ্যাক্ট-এর মৌলিক প্রসঙ্গ টেনে যে তত্ত্বের যুক্তিজাল এদিন সামনে রাখলেন স্বামী, এককথায় তার সারমর্ম হলো, মানুষের বোঝা চাপিয়ে দিলে দিতে হবে জমিও।

সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামীর বক্তব্য হলো, ধর্মের ভিত্তিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছিল ভারত ভূখণ্ড। তাই পাকিস্তান বা অধুনা বাংলাদেশ থেকে এদেশে যেসব মুসলমান অনুপ্রবেশ করেছে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশকে। অন্যথায় এদের সংস্থাপনের জন্য জমি ছাড়তে হবে ঢাকাকে।

স্বামীর মতে, অধুনা বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ সীমান্ত টপকে ঢুকেছে এদেশে। তাই এদের ফিরিয়ে না নিলে বাংলাদেশকে ছেড়ে দিতে হবে সে দেশের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড।

স্বামীর প্রস্তাব, খুলনা থেকে সিলেট অবধি সমান্তরাল রেখা টেনে এই জমি ভারতের হাতে ফেরত দিক বাংলাদেশ। তবে স্বামী জানিয়েছেন, এ নিয়ে তিনি এখনো মোদি বা বিজেপির সঙ্গে কথা বলেননি ঠিকই, কিন্তু নতুন এই তত্ত্বের কথা যথাসময়ে দেশের সংসদে উত্থাপন করবেন। সংসদে এ নিয়ে বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন সে কথা তিনি দলীয় নেতৃত্বকে বুঝিয়ে বলবেন।

সাময়িক প্রসঙ্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার একদিনে সফরে গৌহাটিতে পা রেখেছিলেন স্বামী। উদ্দেশ্য, দলের নির্বাচনী বাতাস বইয়ে দেয়া। কোনো প্রচার সভায় ভাষণ না দিলেও স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে এক আলাপতারিতায় অংশ নেন তিনি। মুখোমুখি হন সাংবাদিকদেরও।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন