কক্সবাজারে আইটিইই বিষয়ে মাস্টার ট্রেইনার কোর্স সম্পন্ন
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
দেশের আইটি গ্রাজুয়েট ও পেশাজীবিদের আর্ন্তজাতিক দক্ষতা পরিমাপের জন্য আইটিইই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে সার্টিফিকেট অর্জন জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নজরুল ইসলাম খান। তিনি গতকাল কক্সবাজারের একটি হেটেলে বাংলাদেশে আইটিইই পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৩ দিন ব্যাপি মাস্টার ট্রেইনার কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সীর (জাইকা) সহযোগিতায় বাংলাদেশী আইটি পেশাদারদের জন্য শুরু হয়েছে এ ইনফরমেশন টেকনোলজী ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশন- আইটিইই।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশফাক হুসেনের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম-প্রধান এস. এম নাসির উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: রুহুল আমীন, প্রকল্প পরিচালক ড. শেখ আমজাদ হোসেন, প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা হিদিও হোয়া, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: রাবিউল ইসলাম এবং প্রকল্পের সমন্বয়ক আকিহিরো সুজি।
প্রকল্প পরিচালক শেখ আমজাদ জানান, বিডি-আইটেক আগামী আক্টোবর’১৩ এপ্রিল’১৪ মাসে দুটি ট্রায়াল পরীক্ষা আয়োজন করবে। এ দুটি পরীক্ষার সফল আয়োজনের পর বাংলাদেশ নিয়মিত ভাবে আইটিইই পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে জুন’১৪ তে আইটিপেক এর সদস্য পদের জন্য আবেদন করবে। আলোচনা শেষে ২১জন প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অধীন “বাংলাদেশ আইটি ইঞ্জিনিয়ারস এক্সামিনেশন সেন্টার (বিডি-আইটেক)” এর মাধ্যমে দেশে প্রথম বারের মতো জাপান সরকারের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবিদের দক্ষতা পরিমাপক আইটিইই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে। জাপানে এটি আইটি প্রোফেশনালদের মান নিয়ন্ত্রক হিসেবে জাতীয় পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত এবং বছরে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে থাকে। এশিয়ার ১২টি দেশে মিউচুয়ালি এই পদ্ধতি চালু আছে। বাংলাদেশে এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর ফলে দেশের আইটি পেশাজীবিগণ তাদের দক্ষতার পরিমাপ করতে পারবেন এবং এই সার্টিফিকেট অর্জনের ফলে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। আশা করা যায় এই সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে আইটি ক্ষেত্রে বিদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।